ক্রীড়া ডেস্ক: স্যামুয়েল উমতিতি গোল করে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠালেও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সবথেকে বেশি। বেলজিয়ামের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে এমবাপ্পে দারুণ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন।
পাভার্ড, জিরুর্ডরা ফিনিশিং দিতে পারলে জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতো। প্রথমার্ধের ৩৯ মিনিটে এমবাপ্পের পাসে বল নিয়ে ভেতরে ঢুকেন পাভার্ড। কিন্তু তার নেওয়া শট রুখে দেন কুর্তোয়া। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে এমবাপ্পের ব্যাকহিল পাস মুগ্ধতা ছড়ায়। কিন্তু জিরুর্ডের শট ফিরিয়ে দেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক। গ্রিজম্যানের পাস নিয়ে, ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘুরে ডানপায়ের থেকে বল নিয়ে বামপায়ের পিছনের অংশ দিয়ে পাস দেন এমবাপ্পে। এরই মধ্যে কয়েক সেকেন্ডের ওই পাস দেওয়ার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বেলজিয়ামের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে এমবাপ্পের অবদানই বড় করে দেখছে ফুটবল সংশ্লিষ্টরা। এবার তার সামনে বিশ্বকাপ জয়ের চ্যালেঞ্জ। ম্যাচ শেষে এমবাপ্পে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ জিততে নিজের সবকুটু উজাড় করে দেবেন তিনি। ম্যাচ শেষে হোটেলে ফেরার পথে মিক্সড জোনে কথা বলেন এমবাপ্পে।
বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে এমবাপ্পে বলেন,‘আমি বিশ্বকাপ জিততে চাই। বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে ঘুমাতে চাই। আমি ১৯৯৮ সালে জন্ম নেইনি। তাই কখনো চ্যাম্পস-এলিসিসকে উৎসব করতে দেখিনি। আমি ফাইনালে আমার সবটুকু দিয়ে দেব। আমরা আমাদের মিশন সফল করতে প্রয়োজনে নিজেদেরকে ‘‘মেরে’’ ফেলব।’
অনেকেই বলছেন এবারের ব্যালন ডি’ অর জয়ে এগিয়ে থাকবেন এমবাপ্পে। লড়াই হবে তারই আইডল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে। রোনালদোর সঙ্গে লড়াইয়ের বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে এমবাপ্পে বলেন,‘এসব বিষয় নিয়ে ভাবনার সময় আমার নেই। আমার বিশ্বকাপ চাই।’
ফ্রান্স ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল দিদিয়ের দ্যেশমের নেতৃত্বে। সেই দিদিয়ের এখন ফ্রান্সের কোচ। তারই শিষ্য এমবাপ্পে লড়ছেন ফ্রান্সকে আরেকটি শিরোপা উপহার দিতে। এমবাপ্পে সেই লড়াইয়ে সফল হন কিনা তাই দেখার।