মোঃ নজরুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন ধনপতিখোলা গ্রামের চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ২সদস্যকে আটক করার পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটককৃতদের তথ্যমতে তাদের লুট করা ১৫ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। আটককৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলো বি-বাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে সোহান ওরফে সোহাগ(৩২), একই জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর তেঁজখালী গ্রামের ফোরকান মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫)। গ্রেফতারকৃত আসামীরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বাঙ্গরা বাজার থানায় ওসি কামরুজ্জামান
তালুকদার আসার পর এটি ছিলো প্রথম ডাকাতি ঘটনা। আর এ ঘটনায় পুলিশ দ্রুত ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করে তাদের কাছ থেকে লুট করা ১৫ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করতে পারায় এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়সুত্রে জানা যায়, গত ৩০শে এপ্রিল দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন ধনপতিখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়ীতে একটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ১০/১৫জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল বাড়ীর মালিক জাহাঙ্গীর মিয়াকে কুপিয়ে আহত করে, সেই বাড়ী থেকে ২০ভরি
স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরদিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম ও বাঙ্গরাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্রতা পুলিশ পরিদর্শক অমর চন্দ্র দাস অনুসন্ধান ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৬শে মে বি-বাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া গ্রাম থেকে সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনার কথা স্বীকার করে সোহাগ। পরে ডাকাত সোহাগের দেয়া তথ্যমতে অপর ডাকাত নজরুল ইসলামকে নারায়নগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত ২ডাকাত সদস্যকে আদালতে প্রেরণ করে তাদের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। বিজ্ঞ আদালত তাদের ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশী রিমান্ডে ২ডাকাত ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেয়া গত ৩০শে মে লুন্ঠিত ২০ভরি স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে পুলিশ।
রিমান্ড শেষে ৩১শে মে ২ডাকাত সদস্যকে আদালতে প্রেরণ করা হলে ঘটনার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এব্যাপারে বাঙ্গরাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ডাকাতির ঘটনার রহস্য উম্মোচন করে ২ডাকাতকে গ্রেফতার এবং লুন্ঠিত স্বর্ণের মধ্যে থেকে ১৫ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে
সাড়াশি অভিযান অব্যহত আছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা সতর্কতার সাথে বিষয়টি তদন্ত করি। করোনা পরিস্থির মাঝেও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করি। দুই আসামীকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।