জাতীয় বাংলাদেশ

ফাইল দেখার কথা বলে রুমে ডেকে রোগীর নাতনীকে ধর্ষণ করলেন চিকিৎসক!

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট: ওসমানীতে রোগীর স্বজন এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইন্টার্ণ চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। ধর্ষিতা কিশোরী নবম শ্রেণিতে লেখা পড়া করছেন। তিনি তার তার অসুস্থ নানির সঙ্গে রাতে হাসপাতালে ছিলেন। রোববার (১৫ জুলাই) মধ্যরাতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় সোমবার হাসপাতাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাক্কাম আহমদ মাহিনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার মীর মখলিছুর রহমানের ছেলে।

স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মাক্কাম আহমদ মাহী ওসমানী মেডিক্যালের নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক। স্কুলছাত্রীটি তার পরিবারের সঙ্গে সিলেট মহানগরীতেই থাকেন।

স্কুলছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ নানির সঙ্গে হাসপাতালে ছিল ওই শিক্ষার্থী। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন ওই স্কুলছাত্রীর নানি। রবিবার রাতে ওই স্কুলছাত্রী ছাড়া আর কেউ রোগীর সঙ্গে ছিল না। রাতে ফাইল দেখার কথা বলে ডাক্তার মাহী ওই মেয়েটিকে একই ফ্লোরে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। সকালে বাবা-মা হাসপাতালে আসার পর স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তাদের জানায়।

সোমবার সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিক্যালের পরিচালকের কাছে চিকিৎসক মাহীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মাহীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক এ ব্যাপারে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনদের এবং ওই চিকিৎসককে নিয়ে বসি। মেয়ের পক্ষ এবং ওই ইন্টার্নের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মেয়ের পরিবারের আনা অভিযোগ মাহী অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা না হওয়ায় মাহীকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটিকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিকালে তদন্ত কমিটি হবে। এছাড়া সব ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ফুটেজ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম কাউসার দস্তগীর এই তথ্য নিশ্চিত করে সময়েরকন্ঠস্বরকে জানিয়েছেন, ‘মাক্কাম মাহীকে আটক করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ওই স্কুলছাত্রীকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *