নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিদ্ধিরগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ট্রাকের সাথে চাপা খেয়ে অপর একটি ট্রাকের চালকের সহকারী নিহত হয়েছে। রোববার বিকেলে শিমরাইল ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলাউদ্দিন সোহান মিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলোগেইট এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভুইয়া থানার জগৎপুর গ্রামে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গাড়ি এলোপাথাড়ি রেখে সড়ক অবরোধ করে দোষী পুলিশের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকদের অভিযোগ, চট্রগ্রাম থেকে ঢাকামুখী একটি ট্রাককে মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম পরিদর্শণের জন্য সিগন্যাল দেয়। কিন্তু ট্রাকের চালক গাড়িটি না থামিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হাইওয়ে পুলিশ ট্রাকটিকে ধাওয়া করে কাচঁপুর পয়েন্টে আসে এবং এখানে একজন পুলিশ সদস্য ট্রাকে উঠে যায়। পরে ওই পুলিশ সদস্য চালকের সহকারিকে তার আসনে থেকে উঠিয়ে গাড়িটির নিয়ন্ত্রন চালকের কাছ থেকে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় চালকের সহকারি ট্রাকের দরজা ধরে ঝুলে ছিল। চালকের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ট্রাকটি শিমরাইল ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনের রাস্তায় দাড়িয়ে আবর্জনাভর্তি একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকে ঝুলে থাকা চালকের সহকারি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ঘটনার পরপর হাইওয়ে পুলিশের ওই সদস্য পেছনে আসা একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে করে পালিয়ে যায় বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন। দুর্ঘটনার শিকার ওই ট্রাকের চালকও পালিয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার জানান, শ্রমিকদের শান্ত করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নিলে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুাপার (অপরাধ) মনিরুল ইসলাম জানান, প্রত্যক্ষদর্শী ও রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।