রেজাউল আলম বিপ্লব, বেলাব(নরসিংদী) প্রতিনিধি:
বেলাব উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের বটেশ্বর গ্রামের আঃ খালেকের ছেলে মোঃ হালিম(৩২)
ও হালিমের ছেলে মোঃ রুমান মিয়া(১১)কে টংগীর বড় মসজিদ এলাকার একটি ভাড়া
বাসায় শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করে ঘরের জানালার গ্রিল এর সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার শেষ রাতে টংগীর বড় মসজিদ এলাকায়
নিহত হালিমের ভাড়া বাসায়। নিহত আঃ হালিমের স্বজনদের অভিযোগ হালিমের স্ত্রীর
ভাইয়েরাই তাদের হত্যা করেছে। নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়,নিহত হালিম তার স্ত্রী
হাসনা আক্তার,তাদের ৪ সন্তান,হালিমের স্ত্রীর ভাই শাহজাহান,মিলন,দুলাল ও কালামকে নিয়ে
টংগীর বড় মসজিদ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া রেখে স্থানীয় বাজারে মুদী ও মশলার ব্যবসা
করতো। সেখানে থাকাকালীন সময় ধরে দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রীর বড় ভাইদের সাথে নিহত
হালিমের ব্যবসা নিয়ে দ্বন্ধ চলে আসছিল। এসব ঘটনায় পূর্বে একাধিকবার হালিমের
গ্রামের বাড়ী হতে আত্মীয় স্বজন গিয়ে সালিশের মাধ্যমে ঘটনার মিমাংশা করে। এ
ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হালিম ও তার সন্তান রুমানকে স্ত্রীর বড় ভাই শাহজাহান,মিলন,দুলাল ও
কালাম মিলে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করে বাসার জানালার গ্রীলের সাথে টাংগিয়ে রাখে
এবং হত্যাকান্ড দেখে ফেলায় হালিমের বড় ছেলে রুমানকেও একই শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করে
বাসার ফ্লোরে ফেলে রাখে।
জানা গেছে ঘটনার পর থেকেই নিহত হালিমের স্ত্রীর ভাই শাহজাহান,মিলন,দুলাল ও কালাম
পলাতক রয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল বুধবার বিকালে বটেশ্বর গ্রামে নিহত হালিমের বাড়িতে গিয়ে
দেখা যায়,পরিবারের সবার কান্নায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়েছে। ব্যবসায়ী
হালিম ও তার সন্তান রুমান মিয়ার মৃত্যু তারা কোনভাবেই মানতে পারছেনা। সন্ধ্যা
পৌনে ছয়টায় নিহতদের লাশ বাড়িতে না আসায় এলাকাবাসি ও নিহতদের পরিবারের
সদস্যরা লাশের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
নিহত আঃ হালিমের পিতা আঃ খালেক কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান,আমার
ছেলের সাথে তার সমুন্ধিদের দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। তারাই আমার ছেলে ও
নাতিকে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে ও নাতি হত্যা কারীদের বিচার চাই।
লাশ আনতে যাওয়া আমলাব ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব
হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,টংগী থানা হতে
লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরে পাঠানো হয়েছে। লাশ বাড়িতে আসতে আসতে রাত
হয়ে যাবে। নিহত হালিমের সাথে তার সুমুন্ধীদের দ্বন্ধ ছিল অনেক আগ থেকেই। ঘটনার
পর থেকেই হালিমের সুমুন্ধীরা পলাতক রয়েছে।