দেশে পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে নিজস্ব ভবন। এর ফলে স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর নিজস্ব অফিস পেল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্মিত এ ভবনের উদ্বোধন করেন।
জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনের উদ্ভূত নানা দুর্যোগ মোকাবিলাসহ শতবর্ষী ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে যুগোপযোগী ও আধুনিক কর্মপরিবেশ তৈরিই পানি ভবনের উদ্দেশ্য। পাশাপাশি প্রতিটি সংস্থার কারিগরি, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের সহজতর সমন্বয় সাধন করা।
এ ভবনে উন্নত ব্যবস্থাপনা, কার্যক্রম সমন্বয় ও পরিবীক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫টি সংস্থার দপ্তর একই স্থানে থাকছে।
পানি ভবনটি ১২তলা বিশিষ্ট। ফ্লোরের মোট এরিয়া ৩৫ হাজার বর্গফুট বেজমেন্ট এবং সেমি বেজমেন্টের উচ্চতা ১০.৮২ ফুট, ফ্লোর উচ্চতা (নিচতলা) ১৩.৭৫ ফুট, ফ্লোর উচ্চতা (অন্যান্য তলা) ১২.২৫ ফুট, ভবনের মোট উচ্চতা ১৭৪ ফুট (সিভিল এভিয়েশন থেকে অনুমোদিত উচ্চতা ১৭৪ ফুট)। অডিটোরিয়াম দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট এবং প্রস্থ ৫১ ফুট, মোট এরিয়া ৫১০০ বর্গফুট (প্রায়) অডিটোরিয়াম উচ্চতা ২১ ফুট, অডিটোরিয়াম ধারণক্ষমতা ৫৩৬ জন। সার্ভিস ভবন ৩তলা বিশিষ্ট, দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট এবং প্রস্থ ৬০ ফুট, প্রতি ফ্লোরের মোট এরিয়া ৬০০০ বর্গফুট (প্রায়)।
সার্ভিস ভবনের উচ্চতা ১৪ ফুট, প্রধান জলাধারের দৈর্ঘ্য ২৭৫ ফুট এবং প্রস্থ ৭৫ ফুট মোট এরিয়া ২০৬২৫ বর্গফুট (প্রায়), পুকুরের দৈর্ঘ্য ১৬৪ ফুট এবং প্রস্থ ১৩১ ফুট, মোট এরিয়া ২১৪৮৪ বর্গফুট (প্রায়), হেলিপ্যাডের এরিয়া ৪৫০০ বর্গফুট (প্রায়), ভবনের বেজমেন্ট এবং সেমি বেজমেন্টে পার্কিং সংখ্যা ১৭৬টি, ভবনের বাইরে খোলা জায়গায় পার্কিং সংখ্যা ২০০টি, কমন টয়লেটের সংখ্যা ৪৮টি, রুমের সঙ্গে অ্যাটাচড টয়লেট সংখ্যা ৭০টি, ভবনের লিফট সংখ্যা ৮টি, লিফটের ধারণক্ষমতা (প্রতি লিফটে সর্বোচ্চ ১৩ জন করে)। ভবনের ১১ তলায় কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে। সোলার প্যানেল ৪০ কিলোওয়াট (অন গ্রিড টাইপ) এবং ভবনের জেনারেটর ৪টি প্রতিটি ৬৫০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন। অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, আধুনিক স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) রয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রায় ২৬১ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ১২তলা বিশিষ্ট পানি ভবনের পানি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।