আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের নয়া প্রধানমন্ত্রী হলে চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন। রোববার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
চ্যান্সেলর বলেছেন, বরিস চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়া) একটি সুযোগ রেখেছেন। এ ধরণের কিছু হলে তাতে তিনি স্বাক্ষর করবেন না।
আগামী সপ্তাহে বরিস যদি প্রধানমন্ত্রী হন এবং তাকে বরখাস্ত করা হবে কিনা সে বিষয়ে কিছু ভাবছেন কিনা জানতে চাইলে হ্যামন্ড বলেন, তেমন কিছু হলে তিনি বুধবার প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে পারেন।
চ্যান্সেলর জানান, পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এবং তার চ্যান্সেলরের জন্য বেক্সিট নীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে কোনো চুক্তি পাস করাতে ব্যর্থ হওয়ার সব দায় কাঁধে নিয়ে গত জুনে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোয় নিয়মানুযায়ী তাকে প্রধানমন্ত্রীত্বও ছাড়তে হবে। অবশ্য দল নতুন নেতা বেছে না নেওয়ার আগ পর্যন্ত থেরেসা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।