বেলাব প্রতিনিধি: নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের হাড়িসাংগান কারীগরি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূনিতির অভিয়োগ তুলেছেন অত্র কলেজের শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগীরা। ঘটনা জানতে কলেজে গেলে শিক্ষার্থীরা জানান ভর্তি ফি বাবদ ২৫০০থেকে ৩৫০০টাকা রশিদ ছাড়া আদায় করেন তাদের কাছ থেকে ভারপাপ্ত অধ্যাপিকা তাহমিনা আক্তার এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা । উপজেলা নির্বাহী কর্মকার্তা শামিমা শরমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ,অত্র কলেজের বর্তমানে কোন ব্যাবস্থাপনা কমিটি নেই ,
ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা বর্তমানে দুইটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।এবং ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে বোর্ড কতৃক নিধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত রশিদ বিহীন টাকা আদায় করেছেন বলে জানাযায়। ঘটনা তদন্তে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম কে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করিয়াছি। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় আমাকে ঘটনা তদন্তের দ্বায়িত্ব দিলে আমি অত্র কলেজে যাই এবং ছাত্র ছাত্রীদের জিগাসা করলে তারা জানান,শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ৫০০ টাকা ভর্তি ফি থাকা সত্বেও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা ২৫০০-৩৫০০ টাকা রশিদ বিহীন আদায় করে তাদের কাছে থেকে তিনি আরো জানান অধ্যাপিকা বিরুদ্ধে যে যে অনিয়ম পাওয়া গেছে তা প্রতিবেদন আকারে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর মহাপরিচালক বরাবর প্রেরন করা হবে।অন্যদিকে ভোক্তভোগী মাসুদ রানা আদালতে মামলা করলে আদালত মামলা তদন্তে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বেলাবকে দ্বায়িত্ব প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে বেলাব যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নওশের আলী হিরা বলেন মাসুদ রানা বাদী হয়ে হাড়িসাংগান কারীগরি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা তাহমিনা আক্তার ও তার স্বামী হুমায়ূন কবির আফ্্রাদ কে আসামী করে আদালতে মামলা করলে মালমা তদন্তে আদালত আমাকে নির্দেশনা দেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায় কলেজে এক বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক অফিস সহকারী পদে নিয়োগ লাভের জন্য মাসুদ রানা অত্র কলেজে গেলে অধ্যাপিকা ও তার স্বামী চাকরীর বিনিময়ে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করেন তাদের কথা মতে মাসুদ রানা তিন লক্ষ টাকা প্রদান করেন পরবর্তিতে মাসুদ রানা জানতে পারে উক্ত পদে বর্তমানে লোক বহাল রহিয়াছে এবং বিজ্ঞপ্তি টি ছিলো ভ‚য়া। টাকা ফেৎরতের জন্য তাদের কে চাপ দিলে বিভিন্ন তাল বাহানা করিতে থাকে যার পেক্ষিতে আদালতে মামলা করে সে, মামলা টি আমি তদন্ত করিতেছি।
উল্লেখিত অনিয়ম ও দূরনীতী সম্পর্কে কলেজের ভারপ্র্প্তা অধ্যাপিকা তাহমিনা আক্তার কাছে জাতে চাইলে তিনি জানান ঘটনা সম্পর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট আমার মান হেয়োপ্রতিপ্রন্ন করার জন্য অত্র কলেজের বহিকৃত শিক্ষক হযরত আলী ষড়যন্ত্র করছে। অন্যদিকে বর্হিকৃত শিক্ষক হযরত আলীর কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপিকার ঘুস বানিজ্য অতিরিক্ত চাদা আদায় ও বিভিন্ন অনিয়ম সর্ম্পকে আমি প্রতিবাদ করিলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কলেজ থেকে আমাকে অব্যাহতি দেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র ছাত্রী অভিবাবক ও ভোক্তভোগীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনা তদন্তে সরকার ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষন করে উপযোক্ত শাস্তি ও বিচার দাবী করেন এলাকাবাসী।