বরগুনা সংবাদদাতা : বঙ্গোপসাগরের কচিখালী ও নারকেলবাড়িয়া এলাকায় ঝড়ের কবলে মাছ ধরার দুটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় গত চার দিনে ১৯ জন জেলের সন্ধান মিললেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে ১৭ জন।
বুধবার সকালে সাগর থেকে ফিরে আসা জেলেরা আশারচরে চার/পাঁচটি মরদেহ ভাসতে দেখেনে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
জেলা ট্রলার মালিক সমিতি সূত্র জানায়, সকালে পাথরঘাটায় ফিরে আসা কয়েকটি ট্রলারের জেলেরা তাদের জানিয়েছেন, আশারচর সাগরে তারা চার/পাঁচটি মরদেহ ভাসতে দেখেছেন। খবর পেয়ে ট্রলার মালিক সমিতি থেকে তিনটি ট্রলার সেখানে খোঁজে নেমেছে।
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী মোবাইল ফোনে বলেন, সকালে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে আসা জেলেদের মাধ্যমে তিনি এ রকম খবর শুনেছেন। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সেখানে অনুসন্ধানের জন্য তিনটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে বঙ্গোপসাগরের নারকেলবাড়িয়ায় বরগুনার আশুতোষ বাবুর মালিকানাধীন এফবি তরিকুল-১ এবং রোববার দুপুরের দিকে কচিখালীর বেহালা মান্দারবাড়িয়া এলাকায় পাথরঘাটার শাহীন ফিটারের মালিকানাধীন এফবি শাহজালাল ট্রলার ঝড়ের কবলে ডুবে গিয়ে জেলেরা নিখোঁজ হয়। এদের মধ্যে এফবি তরিকুল ট্রলারে ১৮ জন জেলেকে সাগরে ভাসমান দেখে চট্টগ্রামের তিনটি ট্রলার উদ্ধার করে তীরে পৌঁছে দেয়। তবে ট্রলারের বাবুর্চি ইলিয়াস এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
রোববার দুপুরে ডুবে বেহালা মান্দারবাড়িয়া এলাকায় এফবি শাহজালাল ডুবে ১৯ জন জেলে নিখোঁজ হয়। এদের মধ্যে মান্দারবাড়িয়া থেকে মাঝি নাসির ও মংলা থেকে সাকিব ও হিরু উদ্ধার হলেও বাকি ১৬ জনের তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি পাথরঘাটার বাদুরতলা ও বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকায়।
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী জানান, ফিরে আসা জেলেদের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি ট্রলার মালিক সমিতি ও জেলে সমিতির যৌথ উদ্যোগে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযানে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।