রেজাউল আলম বিপ্লব, বেলাব প্রতিনিধি:
কথায় বলে পৌষপার্বণের পিঠা উৎসব। এ উৎসব একান্তভাবেই বাঙালির উৎসব। শীত-গ্রীষ্মের সকালগুলো মুখর ও আনন্দময় হয়ে ওঠে নানা রকম পিঠার অনন্য স্বাদে। কিন্তু বর্তমানে নানা ধরণের ফাস্ট ফুডের জোয়ারে আমরা গ্রাম বাংলার পিঠার কথা ভুলতেই বসেছি। সে বিস্মৃতপ্রায় ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে দেশে এখন নানা ধরনের পিঠা উৎসব হয়। এরই অংশ হিসেবে দক্ষিন বটেশ্বর মাতৃছায়া প্রাঙ্গনে হয়ে গেল শীতের পিঠা উৎসব।
আজ অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভীড়। স্থানীয় পাশ্ববর্তি এলাকার যৌথ উদ্যোগে এই জমকালো অনুষ্ঠানে অতিথি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,বিশিষ্ট প্রতœতাতিœক গবেষক হাবিবুউল্লাহ পাঠান,আমলাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ পরশ মোল্লা সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
পিঠা উৎসবে এলাকাবাসীর মিলনমেলার এক অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। ছোট বেলার পিঠাপুলির কথা স্মরণ করেন অতিথি এবং উৎসবে আমন্ত্রিত অনেকে। মূল অনুষ্ঠান শুর হয় বিকেল ৩টায়। পুরো মাঠ গ্রাম বাংলার আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছিল। সাজানো হয়েছিল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী আদি পরিচয়বহনকারী ডালা, কুলা ও মাটির হাঁড়ি দিয়ে। মাঠ প্রাঙ্গণে দর্শকদের ছিল উপচে পড়া ভীড়।স্টলে স্টলে বিচারকরা ঘুরে ঘুরে দেখেন নানা রকম পিঠার কারু কাজ।
পরে বিচারকরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের নাম ঘোষণা করেন।বিচারকরা এই পিঠা উৎসবের নানা দিক নিয়ে প্রশ্ন করেন। জানতে চান পিঠার নাম, তৈরির রেসিপি।
উল্লেখযোগ্য পিঠার মধ্যে ছিল দুধপুলি, দুধ চিতই, ক্ষীর পুলি, পাটিসাপটা, ভাঁপা পিঠা ম্যারা পিঠা, ডিমসুন্দরী, নকশী পিঠা, পাকন পিঠা, শীম ফুল, রংবিলাতি, বিস্কুট পিঠা, কুলি পিঠা, ঝাল পিঠা, সবজি পিঠা, বিবিখানা পিঠা, মুগপাকন, ডাল পিঠা, পাতা পিঠা, বল পিঠা, ছোট পান পিঠা, জাল পিঠা, সুজি পিঠা, নারিকেল পুলি পিঠা, সাজ পিঠা, ডিমসুন্দরী পিঠা।