লেখালেখি শুরু ১৯৯৭ সাল থেকে, মাসিক আলহাসান, পাক্ষিক ম্যাগাজিন অরুণিমা দিয়ে লেখা শুরু, তারপর সম্পাদক মরহুম মোশারফ হোসেনের সাপ্তাহিক নরসিংদীর কথা পত্রিকায় ব্যুরো প্রধান হিসাবে মাঠে কাজ করেছি,তখন সাথে ছিলেন সাংবাদিক ওমর ফারুক ভাই,সহকর্মী ছিলেন সাংবাদিক এম এ হালিম (গাজী টিভি) এবং সাপ্তাহিক দিনের গানের নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘদিন দ্বায়িত পালন করেছি,জাতীয় দৈনিক ভোরের ডাক কটিয়াদী উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছি অনেক দিন।চাকুরী রত অবস্থায় কটিয়াদীতে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলাম কয়েক বছর, ভৈরব রিপোর্টাস ক্লাবের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সহ কয়েক টি পদে ছিলাম প্রায় ১০/১৫ বছর, সম্পাদনা করেছি ভারপাপ্ত সম্পাদক হিসাবে স্টার দর্পণ,গণ প্রহরী সহ বেশকয়েকটি পত্রিকা।
বর্তমানে দৈনিক লাল সবুজের দেশ,দৈনিক যুগ-যুগান্তর,যে যে (আইপি) টিভি,পল্লী শক্তি টিভি, পল্লী শক্তি বার্তা,জাতীয় সাপ্তাহিক জনতার নিঃস্বাশ, জাতীয় সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকা সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অনলাইনে নিয়মিত লেখা লেখি করি।
দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর আগে আমি সাংবাদিকতা শুরু করেছিলাম সম্পাদক মোস্তাফিজ আমিন ভাই সম্পাদিত অরুণিমা পত্রিকার মাধ্যমে। সাপ্তাহিক অরুণিমায় লিখনি ও রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রিয় বড় ভাই তাজুল ইসলাম তাজ ভৈরবীর মাধ্যমে পরিচয় হয় আমার এবং সাংবাদিকতার পথ চলার বিভিন্ন শাখা প্রশাখাতে।
সাংবাদিকতা ও চাকুরীর ফাঁকে তৈরী করলাম পল্লী শক্তি সমাজ কল্যাণ সংস্থা যার গভঃরেজি নং ০৮৪৯, তার কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে তাতেই সময় কাটে অনেক পাশা পাশি কিছু সামাজিক সংগঠনেও।
ভৈরবে এখন প্রায় জাতীয় সবগুলো মিডিয়া আছে। আগেরচেয়ে উন্নত ভৈরব প্রেসক্লাব,রিপোর্টার্স ক্লাব,ভৈরব টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, অন্যান্য সংগঠন সহ আমার একান্ত প্রচেষ্টায় গঠন করা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ( বিএমএসএফ) ভৈরব উপজেলা শাখা,বর্তমানে আমি এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে দ্বায়িত পালন করছি।
কখনো টাকায় বিনিময়ে মানি লোকের সম্মান নষ্ট করা, ক্ষমতার অপব্যাবহার, অতিরঞ্জন, তেলবাজী, চাটুকারীতা, অযোগ্য লোককে বিশেষ ভাবে বিশেষায়িত করিনি।
লেখা লেখির কাজ করে বিভিন্ন সংস্থা হতে পুরস্কার সহ ২ টি পদক পেয়েছি।
বর্তমানে প্রচলিত সাংবাদিকতার বাইরে থেকে ভিন্ন দৃষ্টিকোন হইতে দেখা সমাজ ও মানুষের দূঃখ, কষ্ট তুলে ধরেছি,যতটুকু পেরেছি, পাশাপাশি ধর্মীয় বিষয় সহ সরকারের উন্নয়নএর চিত্র ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছি।
নিজেকে প্রদর্শন বা সাংগঠনিক পদপদবীর জন্য কখনোই কাজ করিনি। আমার কাছে কাজই ছিল মূল বিষয়।
মানব সেবার জন্যে মানবাধিকার সংস্থার শাখা কমিটি করলাম, যা জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) গভঃ রেজি নং ৭০০৬,কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা সহ অনেক গুলো উপজেলা শাখা! আল্লাহর রহমতে এনপিএসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এডভোকেট মাহবুবুল ইসলাম উনার মাধ্যমে ২০৫ টি অভিযোগ গ্রহন করে ৫ বছরে ৮০% কাজ সমাধান করেছি।
ভৈরবে পাদুকা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য তৈরী করলাম “কিশোরগঞ্জ জেলা পাদুকা শ্রমিক ইউনিয়ন”,বর্তমানে এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তিন লক্ষ শ্রমিকের জন্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
বর্তমানে ভৈরবে সিনিয়র সাংবাদিকদের পাশাপাশি নতুনদের মধ্যে এখন অনেকেই আছে যারা মাঠে ভালো কাজ করে যাচ্ছে এবং অনেক যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে,আমি বরাবরি ছিলাম কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মত ” কে আছ জোয়ান হও আগোয়ান হাকিয়েছে ভবিষত, এ তুফান বারি নিতে হবে পাড়ি ” সেই জোয়ানদের কে বিএমএসএফ ভৈরব উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও দোয়া।
যাইহোক যখনই কোন পেশায় অযোগ্য অদক্ষ লোক সংগঠনে অনুপ্রবেশ করবে সেখানে বিশৃঙ্খলা ঘটবে এটাই স্বাভাবিক।তাই সাবধনতা অবলম্বন করা দরকার।
সেই ১৯৯৭ থেকে বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা, হামলা, মামলা উপেক্ষা করে, মানুষের ধুলোবালির ভালবাসায় মিশে আছি আজো এই ভৈরবে।