মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গত বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ২নং পৌর নোয়াগাঁও এলাকায় গত ২৬ জুন অনুষ্ঠিত দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রায়২০ জন নারী পুরুষ আহত হয়। নারীদের মধ্যে ঝালমুড়ি বিক্রেতা আল আমিন এর ৫ মাসের অন্তসন্তা স্ত্রী ছিলেন। আল-আমীন এর স্ত্রীর ভাস্যমতে তাকে সাবেক কাউন্সিলর অলিউল্লাহর লোকজন তার পেটে ও কোমরে অগনিত আঘাত করার কারণে তার পেটের বাচ্চা মারা যায়। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী একজন গরীব ঝালমুড়ি বিক্রেতা তার পক্ষে তেমন ভালো চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। ডাঃ বলেছিল বাচ্চার থলি ফেঁটে গেছে যার কারনে পানি ঝরছে, যে কোন সময় বাচ্ছা মারাযাইতে পরে।
আল-আমীন এর স্ত্রী বর্তমানে কুলিয়ারচর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে। মৃত ২টি ছেলে বাচ্চার লাশ নিয়ে এলাকাতে শোকের ছায়া নেমে আসছে এবং মৃত বাচ্চা নিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের ফাঁসির দাবীতে মিছিল করছে এলাকা বাসি।
এ বিষয়ে বর্তমান কাউন্সিলর হাজী হুমায়ুন আহমেদ নূরী বলেন, গত ২৬ তারিখ যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যান্ত দুঃখজনক ও ন্যাক্কার জনক, আমি এর বিচার সহ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আলামিনের স্ত্রী মৃত দুটি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে তা সাবেক কাউন্সিলর অলিউল্লাহ বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হওয়ায় আজকে দুটি মাছুম বাচ্চাকে জীবন দিতে হয়েছে।
গত ২৬ জুন তারিখের ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষ থানায় এজাহার দাখিল করেন। ২টি নবজাতকের মৃত পূর্বের ঘটনার সূত্রপাত থেকেই হয় বিদায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী,
এ বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর অলিউল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, আল আমিনের স্ত্রীর মৃত্যু সন্তান প্রসব করা আগের ঝগড়ার সাথে কোন সংশ্লিষ্টতা নাই, একটি মহল আমাকে ও আমার পরিবাকে হেয় করার জন্য এ কাজ করছেন। বাচ্চার মৃত্যুর বিষয় নিয়ে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।
এই বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, গত ২৬ জুন ঝালমুড়ির মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইটি গ্রুপে সংঘর্ষ হয়ে ছিল, এই ঘটনার সাথে যদি বাচ্চা মৃত্যুর কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।