কিশোরগঞ্জ, ১৩ জুলাই- কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের সিন্দুক রীতি অনুযায়ী এবারও ঠিক তিন মাস পর খোলা হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলা হয়।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন এক কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার ২শ’ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। এবারও দান সিন্দুকে কোটি টাকা বা তারও বেশি পরিমাণ দান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৯টায় দান সিন্দুক খোলার পর টাকা প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। পরে শুরু হয় টাকা গণনার কাজ। টাকা গণনা করার পর জানা যাবে, এবার কত টাকা সিন্দুকগুলোতে দান হিসেবে পাওয়া গেল।
টাকা গণনা কাজ তদারকি করছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনোয়ার হোসেন, মীর মো. আল কামাহ তমাল, শফিকুল ইসলাম, উবাইদুর রহমান সাহেদ, তাহমিনা সুলতানা নিলা ও মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার আসাদ উল্লাহ প্রমুখ।
এছাড়া কমিটির সদস্য হিসেবে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আনম নৌশাদ খান ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন।
কমিটির সদস্য সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু জানান, ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সিন্দুক খোলা হয়েছে। পাগলা মসজিদের টাকা গণনা চলছে। এবারও দান সিন্দুকে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে পাগলা মসজিদে টাকা গণনার এই এলাহী কাণ্ড নিজ চোখে অবলোকন করতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অনেকেই মসজিদে ছুটে যাচ্ছেন।
প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দান সিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। সাধারণত তিন মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় পর দান সিন্দুক খোলা হয়।