জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি:
করোনায় ভৈরবের মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে ভৈরবে এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন যিনি করোনা ভাইরাসের আক্রমন থেকে মানুষকে সচেতনতার মাধ্যম রক্ষা করতে ভৈরব বাসীর জন্য দিনে রাতে শহরের পাড়া মহল্লাসহ গ্রামাঞ্চলেও আপ্রান চেষ্টা করেছেন তিনি হলেন ভৈরব উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) হিমাদ্রী খিষা। গতকাল হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকা ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। আজ রাত৮টাই আইইডিসি আর থেকে করোনাপ্রতিরোধ কমিটির হাতে রিপোর্টটি পৌছায়্। রিপোর্টে ১১ জনের মধ্য ৫ জনের নমুনায় পজেটিভ এবং ৬ নেগেটিভ ধরা পড়ে। তাদের মধ্য এসিল্যান্ড হিমাদ্রী খিষা সহ দুই জন নারী ও ৩ জন পুরুষ। আক্রান্তরা সবাই প্রথম ও তৃতীয় আক্রান্ত একজন মহিলা ও প্রথম পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে এসেছিল। এ নিয়ে এক সপ্তাহে পুলিশ , চিকিৎসক ,সেবিকা , ব্যবসায়ী ও এসিল্যান্ডসহ মোট ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছে ভৈরবে । বর্তমানে ৩৩ জন প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং ১৫০ জন হোমকোয়ারেন্টাইনে রয়েছে বলে জানান করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃবুলবুল আহম্মেদ। আক্রান্তরা সবাই পূর্বে আক্রান্তদের সংস্পর্ষে এসেছিলেন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি । উল্লেখ্য, ভৈরবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের শুরুতেই এসিল্যান্ড হিমাদ্রী খিষা ভৈরববাসীকে করেনার আক্রমন থেকে রক্ষা করতে ভৈরববাসীকে ঘরে ফেরাতে অনেক চেষ্টা করেছেন। অনেক চেষ্টার পরও ভৈরববাসী বিষয়টাকে খূব একটা আমলে নেয়নি। জনসমাগম করে মানুষ তাদের প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে থাকতো । একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে হিমাদ্রী খিষা ভৈরববাসীকে করোনা থেকে মুক্ত রাখতে হোম কোয়ারেন্টে থাকা লোকজনের বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামে ছুটেছেন । ভৈরববাসীর ধারনা করোনা আক্রান ও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজনের সান্নিধ্যে যাওয়ার কারনেই হয়তো তিনি আজ নিজেই আক্রান হয়ে পড়েছেন।