মো: রফিকুল ইসলাম রুবেল :
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরকার সাফায়েত উল্লাহর ছেলেদের হামলায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হকের ছেলেসহ ভাতিজা ও ভাতিজী আহত হয়েছেন । তোফাজ্জল হক একই ইউনিয়নের দুই বাবের সাবেক চেয়ারম্যান। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার দুপুরে সাদেকপুর হাইস্কুল সংলগ্ন দরগা মসজিদের সামনে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, আজ রবিবার দুপুরে ভোটার আউডি কার্ডের জন্য ছবি তুলতে এলাকায় যায় তোফাজ্জল হকের ছেলে তানভিরুল হক রাফি , তাঁর ভাতিজা আফরাজুল হক ও ভাতিজি তাজিন হক । এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার সাফায়াত উল্লাহর ছেলেদের সাথে বাগবিতান্ডা হয়।পরে তারা ছবি তোলা শেষে ভৈরব ফেরার পথে ঘটনাস্থলে পৌছলে বর্তমান চেয়ারম্যানের তিন ছেলে নাহিদ, জাহিদ, রাহিমসহ তাদের সঙ্গীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ও সাদেকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হক জানান, আমি পরিবার পরিজন নিয়ে ভৈরবে বসবাস করি। আজ রোববার সাদেকপুর ইউনিয়নে জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তোলার নির্ধারিত দিন ছিল। আমার ছেলে রাফি তার দুই চাচাত ভাই-বোন নিয়ে ছবি তোলার জন্য এলাকার স্কুলে গিয়েছিল।
ছবি তুলে অটোরিক্সায় ফেরার সময় বর্তমান চেয়ারম্যানের তিন ছেলে নাহিদ, জাহিদ, রাহিমসহ ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী আমার ছেলেকে অটোরিক্সা থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে লাঠিসোঠা, রড দিয়ে বেধম মারধোর করে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারা আমার ছেলেকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ভাতিজা-ভাতিজিও আহত হয়েছে।
চেয়ারম্যান সরকার সাফায়াতউল্লাহর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি ছেলেরা ঘটনার সময় ধাক্কাধাক্কি করে ঝগড়া করেছে। এসময় আমার পক্ষের ছেলেরাও আহত হয়েছে। বিষয়টি তুচ্ছ ঘটনা বলে তিনি দাবি করেন।
ভৈরব থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমি হাসপাতালেসহ এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। আহতের ঘটনায় তাদের স্বজনরা মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।