সমাধান ডেস্ক: কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানাধীন সালুয়া ইউনিয়নের উত্তর সালুয়া পূর্বপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে প্রভাবশালীরা ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছেন। এতে আহত হন ৩ জন এবং লাঞ্চিত হয় একাধিক নারী।
গত-১০/০৭/২০১৮ খ্রি. তারিখে সালুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ ফজলুর রহমান এবং কাঞ্চন মিয়া গং এর মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ হয়। এতে কাঞ্চন মিয়া গং এর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কাজী আমান উল্লাহ এবং কুদ্দুস ফকিরের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মোঃ ফজলুর রহমান এর লোকজন দের উপর আক্রমন করে বসত বাড়ি ভাংচুর ও স্বর্ণালংকার, নগত টাকা, গোলার ধান, ফার্নিচারসহ প্রায় মোট ৯,০০০০০/- (নয় লক্ষ) টাকার মালামাল লুটপাট করেন। এতে গুরুতর আহত হন ফজলুর রহমান এর পক্ষের ৩ জন এবং কাঞ্চন মিয়ার পক্ষের ২ জন। গুরুতর আহতদের কুলিয়ারচর থানা সাস্থ্য কম্পেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাড়িতে থাকা মহিলাদেরও লাঞ্চিত এবং মারধর করে। পালাক্রমে দুই দিন যাবৎ চালাচ্ছে হামলা, লুটপাট এবং বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ। এই ব্যাপারে কুলিারচর থানর এস.আই মাজহারুর ইসলাম অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে চলে যাওয়ার পরক্ষণে কাঞ্চন মিয়া গং এর লোকজন আবারো হামলা চালিয়ে বসত বাড়ির নলকুপ, হাস-মুরগী লুটসহ সকল গাছপালা কেটে ফেলে বলে অভিযোগ রয়েছে। উক্ত ঘটনায় মোঃ ফজলুর রহমান বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় ১টি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের আসামীরা হলেন:- ১) কাঞ্চন মিয়া, ২) রাসেল মিয়া, ৩) রাজিব মিয়া, ৪) মজলু মিয়া, ৫) জনু মিয়া, ৬) বিল্লাল মিয়া, ৭) দুলাল মিয়া, ৮) মোছাঃ জোবেদা বেগম, ৯) আল আমিন, ১০) জিয়ার উদ্দিন, ১১) শাহাদাত মিয়া, ১২) মোঃ নুরুল্লাহ, ১৩) আমান উল্লাহ।
এই ব্যাপারে এস.আই মাজহারুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা বললে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।