সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ইনিংসের ১৯তম ওভার। শার্দুল ঠাকুরের করা সেই ওভারের দ্বিতীয় বল অফ স্টাম্পের বাইরে করায় ওয়াইড ডাকেন আম্পায়ার। পরের বলও একই লেন্থে। দুই হাত তুলে আবারও ওয়াইড দিতে উদ্যত আম্পায়ার পল রাইফেল। কিন্তু উইকেটের পেছন থাকা মাহেন্দ্র সিং ধোনি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে চিৎকার করে ও শরীরী ভাষায় আপত্তি জানান। ওয়াইড না দিয়ে আম্পায়ার রাইফেলও হাত নামিয়ে ফেলেন। ধোনির ভয়ে কি তবে ওয়াইড দেননি আম্পায়ার! আইপিএলের ম্যাচে এই কাণ্ড নিয়ে বিতর্ক চলছে তুমুল।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার আইপিএলে চেন্নাই এবং সানরাইজার্সের ম্যাচের মধ্যে। শার্দুল ঠাকুরের বল ছিল ওয়াইডের দাগের বাইরে। ব্যাটিংয়ে থাকা রশিদ খানও ব্যাটে বল স্পর্শ করতে পারেননি। ওয়াইড দিতে দিতেও বোলার এবং ধোনির আপত্তির মুখে আম্পায়ার তার সিদ্ধান্তে বদল আনেন। আম্পায়ারের কাণ্ডে ডাগ আউট থেকে উঠে দাঁড়িয়ে শরীরী ভাষায় বিস্ময় প্রকাশ করেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও। এমনকি ধারাভাষ্যকক্ষে থাকা কমেন্টটেররাও ধোনির চিৎকারের কারণে ওয়াইড দেননি আম্পায়ার এমন দাবি তোলেন। শেষ পর্যন্ত ২০ রানে ম্যাচটি হেরে যায় সানরাইজার্স।
এদিকে আম্পায়ারের কাণ্ড নিয়ে কেভিন পিটারসেন বলেন, ‘আমি একদম পুরোপুরি নিশ্চিত যে তার (আম্পায়ারের) হাত উঠতে দেখেছি এবং এরপর তার দিকে প্রচুর চিৎকার-চেঁচামেচি হয়েছে। এরপরই যেন তিনি ওয়াইড দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দিলেন।’
টিভি রিপ্লেতেও সেটি স্পষ্ট দেখা যায় যে, হাত অনেকটুকু তুলেও পরে নামিয়ে ফেলেন রাইফেল। তখন পিটারসেন আরও যোগ করেন, ‘দেখুন, সে ঠিকই সঙ্কেত দিতে যাচ্ছিল, তার পর তার দিকে চিৎকার করা হয়।’
এছাড়াও সুনীল গাভাস্কার বলেন, ‘তারা হয়তো দেখছেন যে, বলে ব্যাট ছুঁয়েছে কিনা। কিন্তু ব্যাটে যদি বল লাগে তাহলে তো ক্যাচ আউট হবে, বল সোজা ধোনির হাতেই গিয়েছে।’
এর আগেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে ধোনির বিতর্কে জড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। গত আসরে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের পক্ষে একটি নো-বল দেওয়ার পর লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছিলেন মূল আম্পায়ার। এরপর ডাগ আউট থেকে মাঠে ছুটে গিয়ে ধোনি তর্ক করেন আম্পায়ারদের সঙ্গে। ওই ঘটনায় ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা হয়েছিল তার।