সমাধান ডেস্ক: জেলার উল্লাপাড়ায় একটি রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বর-কনেসহ মাইক্রোবাসের নয় যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেল সড়কে উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী এলাকার অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান কৌশিক আহমেদ জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদরের উত্তর কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে বর রাজন (২২), তার নব বিবাহিত স্ত্রী উল্লাপাড়া গুচ্ছগ্রামের সুমাইয়া (১৮), বরের মামাতো ভাই শিশু আলিক (১০), মাইক্রোবাসের চালক কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল এলাকার মন্টু শেখের ছেলে স্বাধীন (৩০), শহরের রামগাতি মহল্লার আব্দুল মতির ছেলে আব্দুস সামাদ (৫০), তার স্ত্রী হাওয়া বেগম (৪৫), ছেলে শাকিল (২০), কালিয়া হরিপুর চুনিয়াহাটির মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ভাষা শেখ (৫৫) ও শহরের সয়াধানগড়া মহল্লার সুরুত আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ (২৫)।
এরা সবাই উল্লাপাড়া উপজেলার গুচ্ছগ্রাম থেকে বিয়ের পর কনে নিয়ে বরের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরের উত্তর কান্দাপাড়ায় ফিরছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নাজির হোসেন জানান, বরযাত্রীবাহি মাইক্রোবাস পঞ্চক্রোশী এলাকায় অরক্ষিত রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ওই মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে নিয়ে যেতে থাকে।
প্রায় দুইশ’ গজ দুরে গিয়ে ট্রেনটি থামার পর প্রায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস লাইনের ওপর থেকে সরানো হয়। এরপর ট্রেনটি গন্তব্যের দিকে ছেড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই আট জন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানোর পর একজন মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রোকনউজ্জামান জানান, আহতাবস্থায় তিনজনকে আনার পর আব্দুল আহাদ মারা যান।
এছাড়া সিরাজগঞ্জ শহরের রায়পুর মহল্লার মুসা শেখের ছেলে সুমনের (২৫) অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নাজমুল আহসান নামে অপর একজনকে অচেতন অবস্থায় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।