জাতীয়

ভৈরবের পুলতাকান্দার গৃহবধূ ধর্ষণের মামলায় কারাডি প্রশিক্ষক আটক

মো:আশরাফ আলী বাবু, চীফ রিপোর্টার: এক গৃহবধূ ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত কারাডি প্রশিক্ষককে আটক করে ভৈরব থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। আটককৃত প্রশিক্ষকের নাম রমজান (২৯)। সে বাংলাদেশী বংশদ্ভোত হলেও তার জন্ম হয় পাকিস্তানে। আনুমানিক ৩২বছর পূর্বে রমজানের মা-বাবা বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন। রমজানের বাবা হাজী আবুল কাসেম মারা যাওয়ার পর গত এক বছর আগে মা জোসনা বেগম রমজান ও তার ভাইকে নিয়ে নানার বাড়ি ভৈরবের পুলতাকান্দায় এসে বসবাস করছে বলে এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্ত রমজান নিজেকে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে দাবি করেন। পাকিস্তান সরকারের অনুমতি নিয়ে সে বাংলাদেশে আসেন এবং ঢাকায় একটি ক্লাবে জুডো কারাডি প্রশিক্ষণ কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান। ওই অভিযুক্ত রমজান ২টি বিয়ের কথা স্বীকার করলেও ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ওই গৃহবধূর সাথে সম্পর্ক ছিল বলে স্বীকার করেন। এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোখলেছুর রহমান জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ওই গৃহবধু বাদী হয়ে রমজানকে অভিযুক্ত করে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত রমজানকে গ্রেফতার করে সোমবার জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। এলাকাবাসী ও মামলার এজাহারে জানাগেছে, উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ছনছাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের কন্যা মিতুর সাথে ভৈরব পৌর এলাকার পলতাকান্দা গ্রামের মুমিন সরকারের পুত্র সুমনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় গত ৪ বছর পূর্বে। পার্শ্ববর্তী বাড়ির ওই গৃহবধুর সাথে রমজানের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরকীয়া প্রেমের সুবাদে গৃহবধুর বসতঘরেই তাকে বিভিন্ন সময় ভোগকরত রমজান। ওই গৃহবধু ৩ মাসের বেশি অন্তসত্তা হলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে রমজান আশুগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর আগে পৌর এলাকার আমলাপাড়া গ্রামে বস্তি স্হাপন করে সে প্রথম বিয়ে করলেও তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় বলে স্থানীয় একজন জানান ঐ সময়ও এলাকা ছেড়ে পালায়, ঠিক এবার ও এলাকাবাসীর চাপে মুখে শেষ পর্যন্ত রমজান ভৈরব ছেড়ে ঢাকায় আতগোপন করেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে গোপনে পলতাকান্দায় আসলে এলাকার লোকজন রমজানকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *