বাংলাদেশের পানি সমস্যা সমাধানে তিস্তা উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত বলে মনে করেন ভারতের বিশিষ্টজনরা। এতে ভারতের কোনো ক্ষতিই হবে না বলেও মনে করেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুইদিনের ভারত সফর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তারা। তাদের মতে, এই সফর দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো একধাপ এগিয়ে নেবে।
বিশ্বভারতীর সমাবর্তন ও শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা। আগামী ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ভবনের উদ্বোধন করবেন। শান্তি নিকেতনে এমন একটি ভবন নির্মাণের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরো ভালো হবে। তবে বাংলাদেশের স্বার্থে তিস্তা চুক্তির সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করেন ভারতীয় বিশ্লেষকরা।
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার বলেন, তিস্তা চুক্তি হতে হবে। বাংলাদেশের জল সমস্যার একটা সমাধান হতে হবে। বাংলাদেশকে জলে বঞ্চিত করে পিট চাপরানির মতো একটা ভবন নির্মাণ আমরা চাই না। তিস্তার জল বাংলাদেশকে দিলে ভারতেরই লাভ হবে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি হাইকমিশনার। এছাড়া ২৬ মে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীকে ডি লিট ডিগ্রি দিয়ে সম্মানিত করবেন।