মোঃ নজরুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দৌলতপুর থেকে নিখোঁজের ২ মাস ১৮ দিনের মাথায় বিভিন্ন নাটকীয়তার পর চট্টগ্রাম থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার ভোরে চট্রগ্রাম মহানগরের বাকলিয়া থানাধীন জামাই বাজার এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। জীবিত উদ্ধার হওয়া রেশমা আক্তার উপজেলার মোচাগড়া গ্রামের মোঃ সেলিমের মেয়ে।
বাঙ্গরা বাজার থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুলাই দৌলতপুর গ্রামের মোঃ নাসির খানের স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) কাউকে কিছু না জানিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ঘটনার দশ দিন পর তার স্বামী বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তারপর থেকে উল্টো আত্মগোপনে যাওয়া রেশমা আক্তারের মা আমেনা বেগম ও তার ভাই দাবি করে আসছিলো স্বামী সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে গুম করে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে লাশ গুমের মামলা নেয়ার জন্য তারা বিভিন্ন ভাবে থানা পুলিশ কে চাপ দিতে থাকে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কুড়াখাল এলাকা থেকে একটি অজ্ঞাত মহিলার লাশ পাওয়া যায়। তারপর থেকেই শুরু হয় তার মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের বিভিন্ন নাটকীয়তা। অজ্ঞাত সেই মহিলার লাশটি তার মেয়ের বলে, মা দাবি করে এবং দাফন করার জন্য তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে পুলিশকে চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে অজ্ঞাত এ লাশ কে কেন্দ্র করে আবারো হত্যা মামলা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে মা আমেনা বেগম। পাশাপাশি একটি মহল দ্বারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের কর্মকাÐ নিয়ে প্রশ্ন তুলে। তবে পুলিশ তার নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকে তাকে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যেমে খোঁজতে থাকে। অবশেষে চট্টগ্রাম মহানগরের বাকলিয়া থানাধীন জামাই বাজার এলাকায় রেশমা আক্তারের অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ। সোমবার ভোরে সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আত্মগোপনে থাকা রেশমা আক্তারকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাঙ্গরা বাজার থানায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে রেশমা আক্তারের বাবা ও স্বামীর বাড়ীর লোকজনকে ডেকে তাদের উপস্থিতিতে মা আমেনা বেগমের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রিয়াজ উদ্দীন চৌধূরী বলেন, নিখোজের আড়াই মাস পর আত্মগোপনে থাকা রেশমা আক্তার কে জীবিত উদ্ধারের মাধ্যমে সকল রহস্যের উদঘাটন করা হয়েছে। তাকে তার ইচ্ছায় মায়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।