জাতীয়

ভৈরব সরকারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শ্রমিক ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা

জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি:

ভৈরব সরকারী খাদ্য গুদামে (এলএসডি) খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এর সীলগালা করা গুদাম খোলার অপরাধে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), শ্রমিক ঠিকাদার ও ১০ শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ডিসি) মোহাম্মদ তানভীর হোসেন বাদী হয়ে আজ সোমবার সকালে ভৈরব থানায় দূর্নীতি দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন-গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান, শ্রমিক ঠিকাদার ফারদুল­াহ মিয়া, গুদামের সরদার আবদুস সালাম, শ্রমিক আঃ হান্নান, ফরিদ মিয়া, সোহরাব হোসেন, তাজুল ইসলাম, মিটন, মহন মিয়া, লোকমান হোসেন, বরজু মিয়া ও রউফ মিয়া। পরে পুলিশ তাদের কিশোরগঞ্জ জেলে পাঠায়।
এ ঘটনায় খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো: মহসিন মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, কমিটি গঠনের পরপরই তদন্তের কাজ শুরু কারেছি। এ ঘটনায় যারা জড়িত থাকবে, তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যববস্থা নেয়া হবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন জানা, শনিবার বিকেলে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোঃ সারোয়ার মাহমুদ ভৈরব সরকারী খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করতে আসেন। এসময় তিনি ২ ও ৩ নাম্বার গুদামে চালের মজুত কম সন্দেহ করে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। এছাড়াও এদিন তিনি পাশের একটি রাইস মিলের গেইট গুদামের সাথে খোলা দেখতে পান। এসব দেখার পর তিনি ২ ও ৩ নাম্বার গুদাম সীলগালা করে ঢাকায় চলে যান। পরে তিনি তাৎক্ষণিক ঢাকায় মহাপরিচালককে মোবাইলে ঘটনাটি অবহিত করলে মহাপরিচালকের নির্দেশ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্র্যাট লুবনা ফারজানা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে এসে খাদ্য কর্মকর্তা, শ্রমিক ঠিকাদারসহ ১০ শ্রমিককে আটক করেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন আরও জানান, মহাপরিচালকের দেয়া সীলগালা ভেঙে খাদ্য পরিদর্শক অপরাধ করেছেন। গুদামে মজুতকৃত চাল কম রয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি বিষয়টি দেখবেন।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে গুদামে গিয়ে ৩ নাম্বার গুদামের সীলগালা ভাঙা পাই এবং শ্রমিকরা গুদামের ভিতর কাজ করছিল দেখতে পাই। মহাপরিচালকের সীলগালা খাদ্য গুদামের পরিদর্শক অনুমতি ছাড়া ভাংতে পারেন না। একারণে আমি পরিদর্শক, শ্রমিক ঠিকাদারসহ ১০ শ্রমিককে আটক করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *