জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারে রাতের আধারে নদীর তীরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে ব্যবসায়ীদের মজুদ করে রাখা পচন ধরা পিয়াজ। বেচা বিক্রি কম হওয়ায় জমিয়ে রাখা পিয়াজে এখন পচন ধরেছে। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা তা ফেলে দিচ্ছেন নদীতে। ফেলে দেওয়া পিয়াজগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছেন হত দরিদ্র পরিবারের শিশুরা। সাধারণ মানুষ বলছে পিয়াজের দাম বাড়াতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি করে মজুদ করে রাখা এই পিয়াজ পচে যাওয়ায় রাতের আধারে এখন তা নদীতে ফেলে দিচ্ছেন আড়তদাররা। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন মায়ানমার থেকে আনা পিয়াজের অর্ধেক পিয়াজ রাস্তাতেই পচে যায়। ফলে নষ্ট হওয়া পিয়াজ ফেলে দিতে হচ্ছে।
দেশে হঠাৎ করে পিয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠায় সাড়া দেশের ন্যায় ন্দর নগরী কিশোরগঞ্জের ভৈরবেও নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য পিয়াজ ব্যবহারে নেমেছে ধ্বস । মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যায় নিত্যদিনের রান্নায় পিয়াজের ব্যবহার। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পাড়া মহল্লায় দোকানে খুচরা বিক্রির জন্য যেখানে মনকে মন পিয়াজ কিনে নিত সেখানে এখন ঐ সকল ব্যবসায়ীরা ৪ থেকে ৫ কেজি করে পিয়াজ কিনে নিচ্ছে দোকানে বিক্রির জন্য । তাও বিক্রি করা যাচ্ছেনা পিয়াজের দাম বেশি হওয়ায়। দোকানিরা বলছেন পিয়াজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাওয়ায় অনেক পরিবার পিয়াজ ছাড়াই আবার কেউবা নাম মাত্র পিয়াজ দিয়ে রান্নাবান্নার কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় পিয়াজের ব্যবহারও এখন অনেক কমে গেছে। ঘরোয়া কাজে এমনকি হোটেল রেস্তুরায় তৈরি খাবারেও এখন আর পিয়াজ ব্যবহার করছেননা দোকানীরা। পিয়াজের আড়তগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে আজকের বাজারেও ১৮০ থেকে ২০০ শত টাকা দরে পিয়াজ বিক্রি করছেন আড়তের মহাজনরা। তবে আড়তে আগের মত এখন আর অধিক পরিমানের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছেনা। পিয়াজের আড়তগুলোতে এখন পিয়াজের দোকান সাজিয়ে বসে থাকলেও আগের মত ক্রেতা পাচ্ছেননা আড়তদাররা। আড়তে জমে মজুদ থাকা পচন ধরা পিয়াজের অধিকাংশই ফেলে দিতে হচ্ছে মহাজনদের। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করছেন কখন পিয়াজের দাম কমে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে। ভৈরব বাজারের আড়তগুলোতে আজও পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৯০ থেকে ২০০ শত টাকা দরে ।