জাতীয়

ভৈরবে দাফনের সাড়ে তিন মাস পর লাশ কবর থেকে উত্তোলন

সমাধান ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আদালতের নির্দেশে দাফনের সাড়ে তিন মাস পর সুজন মিয়া নামের এক ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার শিমূলকান্দি ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামের তুলাকান্দি কবরস্থান থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মো: জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় ভৈরব থানা পুলিশসহ অভিযোগকারী সুজনের স্ত্রী সুরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন। উত্তোলনের পর লাশটি ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

জানাযায়, ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের ইমান উদ্দিন ইমুর ছেলে সুজন মিয়া (২৮) চলতি বছরের গত ১৭ মে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পর থানা পুলিশকে না জানিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়না তদন্তে লাশটি কবরস্থ করেন। ঘটনার দিন সুজনের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে স্বামীর লাশে ক্ষত দেখে তখনই শ্বশুরসহ পরিবারের কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। পরে ঘটনাটি আপোষ-মীমাংসা করতে একাধিকবার চেষ্টা করেন তার স্ত্রী। কিন্তু ৩ মাসেও ঘটনাটি আপোষ না হওয়াই গত ২ আগস্ট কিশোরগঞ্জ আদালতে শ্বশুর ইমান উদ্দিন ইমু, চাচা শ্বশুর ওসমান মিয়া, দেবর হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগমকে অভিযুক্ত কওে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভৈরব থানার ওসিকে এফ.আই.আর করতে নির্দেশ দেন। এরপর গত ১০ আগস্ট মামলাটি ভৈরব থানায় রেকর্ড করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রাসেল আহমেদ গত ১১ আগস্ট লাশ উত্তোলনের আদালতে আবেদন করেন। গত ১৩ আগস্ট আদালত আদেশ দিলে আজ রোববার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মো: জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।

ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: বাহালুল বাহার জানান, আত্মহত্যার ঘটনাটি সাড়ে ৩ মাস আগের ঘটনা। তখন পুলিশকে না জানিয়ে লাশটি দাফন করা হয়েছিল। পরে তার স্ত্রী সুরজাহান ৪ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা করলে আদালতের নির্দেশে আজ কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: জাকির হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশে আমার উপস্থিতিতে লাশটি উঠিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *