জেলা প্রতিনিধি: ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা পোশাক কারখানার এক নারী কর্মীকে ধর্ষণ করতে না পেরে গালে, মুখে ও স্পর্শকাতর জায়ড়ায় কামড় দিয়ে জখম করার অভিযোগে উঠেছে। আহত ওই নারী কর্মী ৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বুধবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় আসামি হলেন— বরগুনা সদর উপজেলার আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে জুয়েল। ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানাকে এজাহার রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী জানান, সে ঢাকায় একটি কারখানায় পোশাকে শ্রমিকের কাজ করে। কোরবানি ঈদের ছুটিতে ২১ আগস্ট নিজ বাড়িতে আসে। প্রতিবেশী জুয়েল তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। বিয়েতে রাজি না হলে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ২৩ আগস্ট বিকেলে তার বাড়ির পাশে রাস্তায় ঘুরতে যায়। তখন জুয়েল দেখতে পেয়ে আবার বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আবারও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে জুয়েল তার হাত ধরে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন জুয়েলকে একটি চড় মারে। এতে জুয়েল আরও প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে। বাদী ২৬ আগস্ট তার নিজ বাড়ি থেকে উত্তর দিকে যাবার সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জুয়েল মুখ চেপে ধরে পাশের সুপারী বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এ সময় ওই নারী কর্মী ধর্ষণে বাধা দিলে জুয়েল ওই নারীর দুই গালে, মুখে ও শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় কামড় দিয়ে জখম করে এবং জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে। নারীর চিৎকারে তার বাবা এবং প্রতিবেশী জহিরুল, জাহিদ, ফোরকান ও রেনু ঘটনাস্থলে গিয়ে জুয়েলকে আটক করে। সংবাদ পেয়ে জুয়েলের লোকজন খবির, গণি, আব্বাস, সজিব, ছগির, রাকিব ও জব্বার জানতে পেয়ে বাদীর লোকজনকে মারপিট করে ছাড়িয়ে নেয়।
এই বিষয়ে বাদীর বাবা নিজাম মৃধা বলেন, ‘তার মেয়ের চিৎকারে লোকজন ছুটে না এলে জুয়েল তার মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করে দিত।