দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৯১ তম ঈদুল ফিতরের জামাত। ঈমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। জামায়াত শুরু হবে সকাল ১০ টায়।
২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহের চেকপোষ্টে হানা দেয় জঙ্গি বাহিনী। পুলিশ বাহিনীর নির্ভীক সদস্যরা জীবনবাজী রেখে জঙ্গীদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেন। বুঝতে দেননি ঈদ জামাতে শরীক হওয়া প্রায় ৪ লক্ষাধিক মুসুল্লিদের। জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটকে চিন্তায় নিয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
এই হামলা হওয়ার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে আরো নিশ্ছিদ্র। ১৯১ তম ঈদ জামাতকে আরো নিশ্ছিদ্র নজরদারী করার জন্য প্রথম বারের মতো শোলাকিয়ায় উড়ানো হচ্ছে দুটি ড্রোন।
পুলিশ প্রশাসনসূত্রে জানা যায়, এবার পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক নজরদারী করবে।
ইতিমধ্যে মাঠ ও মাঠের আশপাশ ভিতর বাহির এবং প্রবেশপথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় আনার কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। মাঠ সংলগ্ন আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকাকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। মাঠে স্থাপন করা হয়েছে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার যার চারটিতে পুলিশ বাহিনী ও দুইটিতে র্যাব ঈদ জামাতের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
পাশাপশি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহর এবং আশপাশের এলায় গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। শোলাকিয়ায় আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি সদস্য নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলবে। মাঠের প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টরে দেহ তল্লাশির পর মুসল্লি প্রবেশ করবে।
- পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান জানান, শান্তিপূর্ন নিরাপত্তার জন্য চার স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উড়ন্ত ড্রোন প্রযুক্তি ছাড়াও নজরদারীতে থাকবে পোশাক ও সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। অন্যবারের থেকেও বেশি পুলিশ সদস্য থাকবে। এবার নির্বিঘ্নে শোলাকিয়ায় মুসল্লিগণ জামাত আদায় করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত শান্তিপূর্নভাবে সম্পাদন করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে শোলাকিয়া স্পেশাল সার্ভিস নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। ময়মনসিংহ থেকে ঈদের দিন সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটেচেড়ে ৯টা ৫ মিনিটে কিশোরগঞ্জে এসে পৌছবে। অন্যটি ভৈরব থেকে সকাল ৬ টায় ছেড়ে পৌনে ৯ টায় কিশোরগঞ্জ এসে পৌছবে। উভয় ট্রেন দুটি দুপুর ১২ টায় ভৈরব ও ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।