দক্ষিণকোরীয় এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যার পর পুড়িয়েছে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
৪৭ বছর বয়সি ওই কর্মকর্তা মৎস বিভাগে কাজ করতেন। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সীমানা থেকে ১০ কি.মি. দূরে নৌকা নিয়ে টহল দিচ্ছিলেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইয়েনপিয়ং দ্বীপের কাছাকাছি থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিউল জানিয়েছে, একটি টহল নৌকা থেকে ওই কর্মকর্তা নিখোঁজ হন। পরবর্তী সময়ে তাকে উত্তর কোরিয়ার জল সীমানায় পাওয়া যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণয়ের দাবি, নিজেদের সীমানায় পাওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তী সময়ে তাকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর তার গায়ে তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই কর্মকর্তাকে পোড়ানোর সময় উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা গ্যাস মাস্ক পরা অবস্থায় ছিলেন।
যদিও এ বিষয়ে পিয়ং ইয়ং এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
করোনা মহামারির পর থেকে সীমান্তে বেশ কড়াকড়ি করেছে উত্তর কোরিয়া। সীমান্তে অবৈধ্যভাবে প্রবেশের ক্ষেত্রে দেশটি ‘দেখামাত্র গুলি’ করার নীতি অবলম্বন করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই কারণেও ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটিকে ‘পাষবিক কাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এর আগে ২০০৮ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার এক পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছিল উত্তর কোরিয়ার এক সেনা সদস্য।