নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করতেই পরিকল্পিতভাবে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। এমনকি খুনিদের পুরস্কৃতও করা হয়েছিল। সবকিছুই হয়েছে জিয়াউর রহমানের সরাসরি দিক নির্দেশনায়।
বুধবার রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২১ নং ওয়ার্ড কর্তৃক আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, খুনিরা হত্যার আগে মেজর জিয়ার কাছে পরামর্শের জন্য গিয়েছিল, জিয়া তাদের গ্রেপ্তার তো করেইনি, বরং তাদেরকে বলেছে তোমরা যা ভাল মনে করো করতে পারো। মেজর জিয়ার এই গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই তারা ইতিহাসের নিকৃষ্টতর বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা আজও সক্রিয় আছে দাবি করে মেনন বলেন, ১৯৭৫ এর এইদিন প্রত্যুষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হত্যার বিচার হয়েছে, সেই ষড়যন্ত্রের কুশীলবদের স্বরূপ আজো উন্মোচিত হয়নি। সেইদিনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের পুরোনো দিনগুলোতে। আজ যদিও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দেশের ক্ষমতায় তারপরও সেই ষড়যন্ত্রের অবসান হয় নাই। বিএনপি জামায়াত মৌলবাদীরা এইদিনে এখনো উল্লাস করে। মরিয়া চেষ্টা করছে তারা আবার যাতে ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে। আজ তাই এইদিনে আমাদের শপথ নিতে হবে, এই ষড়যন্ত্রকে প্রতিরোধ করে দেশকে গনতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিতে হবে।
পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা ৮ আসনের ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২২ নং ওয়ার্ড কর্তৃক শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কাঙ্গালিভোজ ও শোক সভায় অংশ নেন।
এ সময় রমনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মোকলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন।