মো: রফিকুল ইসলাম রুবেল :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ফরিদপুর ইউনিয়ন আব্দুল হামিদ ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মো. সজীব মিয়াকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন আব্দুল হামিদ ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে ব্যানায় ও ফেস্টুন নিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে ডুমরাকান্দা-বেলাব রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ফরিদপুর ইউনিয়নের নাপিতেরচর গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদকসেবি ও মাদক ব্যবসায়ী মো. সুলতান মিয়ার পুত্র মো. ইকবাল (৩০), লাল মিয়ার পুত্র মো. কাসেম (৪০), মো. জজ মিয়ার পুত্র মো. নাছু মিয়া (৩২), মো. কাসেম মিয়ার পুত্র মো, জাহিদ (১৭), মো. আলা উদ্দিনের পুত্র মো. মেরাজ মিয়া (৩৮) দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুল কাদির, সমাজ সেবক মো, জসিম উদ্দিন, অভিভাবক সাকিল আহমেদ, আহত ১০ম শ্রেণির ছাত্র সজীব, ৯ম শ্রেণির ছাত্র পূণ্য, ৯ম শ্রেণির ছাত্রী নৌরিন ও ৯ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী প্রমূখ।
এসময় ফরিদপুর গ্রামের মো. জাকির মিয়ার পুত্র আহত মো. সজীব মিয়া বলেন, মাদকসেবী জাহিদ আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ফরিদপুর ইউনিয়ন আব্দুল হামিদ ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। সে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের পাশে ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গণে মাদক সেবন ও বিক্রি করে আসছে। মাদক সেবন ও বিক্রি করতে তাকে বাধা নিষেধ দিয়ে বিদ্যালয়ের স্যারদের নিকট তার বিষয়ে অভিযোগ দিব জানালে সে আমাকে মারধোর করার হুমকি দেয়। গত ২৮ অক্টোবর সোমবার বিকাল ৬ টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় আল আমিন স্যারের নিকট প্রাইভেট পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরার পথে ক্ষিপ্ত জাহিদ তার বাড়ির অর্থাৎ নাপিতেরচর গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদকসেবি ও মাদক ব্যবসায়ী মো. সুলতান মিয়ার পুত্র মো. ইকবাল (৩০), লাল মিয়ার পুত্র মো. কাসেম (৪০), মো. জজ মিয়ার পুত্র মো. নাছু মিয়া (৩২) ও মো. আলা উদ্দিনের পুত্র মো. মেরাজ মিয়াকে সাথে নিয়ে ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম আজিজ উল্ল্যাহর বাড়ির সামনে কবরস্থান সংলগ্ন রাস্তায় দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে আমার উপর হামলা করে আমাকে মারধোর করে। হামলাকারীদের আঘাতে আমার মাথার ডানপাশে গুরুতর জখম হয়। এসময় আমার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে আমাকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এর পর থেকে হামলাকারীরা আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।