সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনের ঘটনায় রায়হান আহমদের (৩৪) মৃত্যুর পর থেকে ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ সাময়িক বহিষ্কৃত এসআই আকবরকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভিস্টেগিশেন (পিবিআই) এ স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস) জ্যোর্তিময় সরকার জানান, পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এরআগে রোববার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার। এরপর সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে এসএমপির হেডকোয়ার্টারের আদেশে ওই ফাঁড়ি ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার এবং তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ ও হারুনুর রশীদ। প্রত্যাহার করা তিনজন হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশীক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন।
এর আগে রোববার ভোরে নগরের কাস্টঘর এলাকায় ‘ছিনতাইকারী’ সন্দেহে গণপিটুনিতে আহত হলে হাসপাতালে নিলে রায়হানের মৃত্যু হয় বলে জানায় পুলিশ। এরপরই তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ করা হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ আসার প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া অ্যন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) জ্যোর্তিময় সরকার।
নিহত রায়হান নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়ার বাসিন্দা। তার বাবা মৃতরফিকুল ইসলাম। তিনি দুই মাসের এক কন্যা সন্তানের জনক। দুই বছর ধরে তিনি সিলেট জেলা স্টেডিয়াম মার্কেটের চিকিৎসক ডা. গোলাম কিবরিয়া ও ডা. শান্তা রাণীর চেম্বারে সহকারীর কাজ করতেন।
এদিকে, মঙ্গলবারও সিলেট নগরে এ ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। নগরের চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনও পালন করেছে একাধিক সংগঠন।