সমাধান ডেস্ক : আরেকটি এক এগারোর পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন এরপরেও তার দল ক্ষমতায় কীভাবে আছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এই কথা বলার পরও তারা কেন সরকারে আছেন। পদত্যাগ করছেন না কেন?’
শুক্রবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ওবায়দুল কাদের একটি মারাত্মক কথা বলেছেন। তিনি এক-এগারোর পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। এরপরও তারা সরকারে আছেন? এখনো পদত্যাগ করছেন না? সরকার আওয়ামী লীগের, অথচ এক-এগারোর পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, একটি কথা ভুলে গেলে চলবে না, এই এক-এগারোর বেনিফিশিয়ারি (সুবিধাভোগী) কিন্তু আওয়ামী লীগ। এতটাই বেনিফিশিয়ারি যে তাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) বিদেশ যাওয়ার আগে বলেছিলেন, আমরা এই ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সরকারের সব কর্মকাণ্ডের বৈধতা দেব। দিয়েছিল, পার্লামেন্টে আইন পাস করেছে।
সাংবাদিক নির্যাতনবিরোধী এই সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ১৯৭৫ সালের ঘটনায় কীভাবে জোর করে খালেদা জিয়াকে যুক্ত করেন? তিনি (শেখ হাসিনা) জিয়াউর রহমানকে তার সঙ্গে যুক্ত করেন? যা মুখে আসছে, তা-ই তিনি বলছেন।’
‘আমরা এই কথাগুলো বলতে চাই না। আমরা বলতে চাই, আপনি রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। আপনার মুখে এ ধরনের কথাবার্তা কখনোই শোভা পায় না।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রথম দিন থেকেই সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। প্রকাশ্যে ছাত্রদের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে সমর্থন করেছে বিএনপি। সেই সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনকে অবশ্যই সমর্থন জানাবে বিএনপি।’
অন্যদের মধ্যে সংহতি সমাবেশে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য দেন।