নিজস্ব প্রতিবেদক : খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে নেতা-কর্মীদের জীবন বাজি রেখে লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার আশু রোগ মুক্তি কামনায় এর আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রকে ফিরে এনে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। সেজন্য মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জানপ্রাণ জীবন বাজি রেখে আমাদেরকে লড়াই করতে হবে এবং সেই সংগ্রামে আমাদের জয়ী হতে হবে। সরকারকে বাধ্য করতে হবে একদিকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে, অন্যদিকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে।’
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আজকে এমন এক মুহূর্তে, এমন দিনে, বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে আমরা দোয়া করার জন্য উপস্থিত হয়েছি, যখন তিনি এই ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের চক্রান্তে কারাগারে রুদ্ধ হয়েছেন। তিনি শুধু একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কয়েকজন ব্যক্তির মাঝে একজন। যিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’
‘দীর্ঘ ৯ বছর তিনি মানুষের কাছে গেছেন, মানুষকে নিয়ে রাজপথে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছেন। ১/১১ সময় তিনি যখন কারাগারে যান, তখন সেখান (কারাগার) থেকে সরকারকে বাধ্য করেছিলেন জরুরি অবস্থা তুলে নিতে। আজকে তাদের চেয়েও খারাপ হচ্ছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। তারা মানুষের সমস্ত অধিকারগুলো দখল করেছে’, বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করেছে। শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে, তাদের তুলে নেওয়া হচ্ছে।’
দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।