নিজস্ব প্রতিবেদক: ওষুধসহ হাসপাতালের বিভিন্ন খাতে ক্রয় দেখিয়ে সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাত ও বিনা দরপত্রে সাড়ে ৯ কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঁচ ডাক্তারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শনিবার রংপুর সদর থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদি হয়ে মামলাটি করেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. আ স ম বরকত উল্লাহ, সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী পরিচালক ডা. বিমল কুমার বর্মণ, সাবেক উপ-পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার দাস গুপ্ত ও সাবেক উপ-পরিচালক ডা. মো. জহিরুল হক।
এছাড়া হাসপাতালের প্রধান মেডিসিন স্টোরের ইনচার্জ ফার্মাসিস্ট মো. আনিছুর রহমান, ফার্মাসিস্ট মো. মোকছেদুল হক, স্টুয়ার্ড মো. আজিজুল ইসলাম ও স্টুয়ার্ড মো. আসাদুজ্জামানকে এবং চার ঠিকাদার রংপুরের স্থানীয় মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিনের স্বত্ত্বাধিকারী মনজুর আহমেদ, এমএইচ ফার্মার মালিক মোসাদ্দেক হোসেন, মেসার্স অভি ড্রাগসের মালিক মো. জয়নাল আবেদীন ও মেসার্স আলবিরা ফার্মেসীর মালিক মো. আলমগীর হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রনব বলেন, হাসপাতালের জন্য ওষুধসহ বিভিন্ন খাতে ৮ কোটি ৬১ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৯ টাকা আত্মসাত ও বিনা দরপত্রে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৬ টাকার কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।এতে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমএসআর (মেডিসিন, সার্জিক্যাল, রিঅ্যাজেন্ট) খাতে ইনজেকশন সেমিপাইম-১ ক্রয় দেখিয়ে ৫ কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৪০৬ টাকা ও পথ্য খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩২ টাকা আত্মসাত এবং বিনা দরপত্রে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৬ টাকার কার্যাদেশ প্রদান করেছিল।