(ফাইল ফটো)
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। সেইসাথে পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের ইফতার অনুষ্ঠান হবে এমন প্রস্ততিকালে ইফতারের এক ঘণ্টা আগে পুলিশ তাদের অনুষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়।
পৌর বিএনপির উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বিএনপির বাসস্ট্যান্ড কার্যালয়ে এ ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
ভৈরব পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, আজকের ইফতার অনুষ্ঠান না করতে ভৈরব থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই নিষেধ করেছে। পুলিশ মোবাইলে বিএনপি নেতাদের ইফতার অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলেছে। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান, পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাজী শাহীন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানসহ একাধিক নেতাকর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানের সময় নেতাদের না পেয়ে পুলিশ অনেকেই ফোনে জানিয়েছে আজ ইফতার অনুষ্ঠান করা যাবে না।
এদিকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় দুই দলের উত্তেজনায় পুলিশ পৌর আওয়ামী লীগের ইফতার অনুষ্ঠানও বন্ধ করে দেয় বলে জানা গেছে। পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের ট্রমা হাসপাতাল মাঠে আজ পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের ইফতার অনুষ্ঠান হবে এমন প্রস্ততিকালে ইফতারের এক ঘণ্টা আগে পুলিশ তাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। বিএনপির অফিসটিও একই এলাকায় তাই দুই দলের ইফতার আয়োজনে এখানে উত্তেজনা-সংঘর্ষের আশঙ্কায় পৌর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ইফতার মাহফিল বন্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শরীফুল আলম ইফতার অনুষ্ঠানে আগমনের খবরে স্থানীয়ভাবে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনার সংবাদ পাওয়া গেছে বলেই বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বন্ধ করে। কিন্ত এতে আজ বিকালে দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্য উত্তেজনায় উভয় পক্ষের ইফতার পুলিশ বন্ধ করেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শরীফুল আলম অভিযোগ জানান, পুলিশ আমাদের ধর্মীয় কাজ ইফতারেও বাধা সৃষ্টি করে ধর্ম পালন করতে দিচ্ছে না।
ভৈরব থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান জানান, দুটি দলের একই এলাকায় ইফতার আয়োজনে নেতাকর্মীদের মধ্য উত্তেজনার খবরে পুলিশ পৌর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি দলেরই ইফতার অনুষ্ঠানটি বন্ধ করেছে। দুই দলের নেতারা ইফতার অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনীতি করে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি করবে এমন কাজ পুলিশকে বন্ধ করতেই হবে বলে তিনি জানান।