জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চৈতি বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। আজ বুধবার সকালে শহরের পঞ্চবটি বৌবাজার এলাকার হালিমা বেগমের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। চৈতি হালিমা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া হেলাল মিয়ার মেয়ে এবং শাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে সাগর মিয়ার (২০) স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ স্বামী সাগর মিয়াকে আটক করেছে।
চৈতির বাবা হেলাল মিয়া জানান, পেশায় অটোরিক্সা চালক সাগরের সাথে ৮/৯ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার মেয়ের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সাগর-চৈতির দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকতো। বিভিন্ন অজুহাতে সাগর তার মেয়ে চৈতিকে মারধর করতো। গতকাল রাতেও মারধরের ঘটনা ঘটে।
সকালে ঘরের আঁড়ার সাথে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। তাঁর দাবি, মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। সাগর তার মেয়েকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছে। তিনি মেয়ে হত্যার অভিযোগে সাগরের বিচার দাবি করেন।
এদিকে পুলিশের হাতে আটক সাগর স্ত্রী হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে তার ও চৈতির মাঝে ঝগড়া হলে তিনি তাকে মারধর করেছিলেন। কিন্তু তাকে তিনি হত্যা করেননি। রাগে চৈতি আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজোয়ান আহমেদ দীপু জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সূরৎহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসে। ময়না তদন্তের পর বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যার ঘটনা।