সোহেলুর রহমান, ভৈরব প্রতিনিধি ॥
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ২ সন্তানের জননী গৃহবধুর শ্লীলতাহানীর করতে গিয়ে এলাকাকবাসীর হাতে পাভেল (২৬) নামে যুবক আটক। পাভেল কুলিয়ারচর থানাধিন আহাম্মদপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান বাচ্ছু মিয়ার ছেলে। রবিাবার সন্ধায় ভৈরব কাজারের টিনপট্টি এলাকায় মহিউদ্দিনের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ধা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে মহিউদ্দিন মিয়ার বসত ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী তহুরা বেগমের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করলে তার চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে পাভেলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ।
ভুক্তভোগী তহুরা বেগম জানান, আমি বিগত আট বছর পুর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই । আমার দুইটি শিশু মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমার স্বামী ভৈরব বাজারের একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরি করেন। ইতিপূর্বে আমি শশুর বাড়িতে থাকাকালিন সময়েও পাভেল আমাকে বিুিভন্ন ভাবে উত্তক্ত করতো । আমি শশুর বাড়িতে থাকা কালিন সময়ে গত ১৪ মে ২০১৮ইং তারিখে আমার বাসায় গিয়ে আমার সাথে জোড় জবরদস্থি করে তার অসত উদ্দ্যেশ্য হাসিল করতে । তখনো আমার চিৎকারে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পাভেলকে আটক করে কুলিয়ারচর থানার পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে পাভেলের বিরুদ্ধে কুলিয়রচর থানায় মামলা দায়ের করি। তার ভয়ে আমি আমার শশুর বাড়ি ছেড়ে আমার দুই মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে ভৈরবে চলে আসি। পাভেল ১ মাস জেলে খেটে জামিনে বেরিয়ে এসে আমাকে খুজতে থাকে বলে লোক মূখে জানতে পারি। সে আমার ঠিকানা সংগ্রহ করে আজ সন্ধায় আমার বাসায় ঢুকে আমার ওপর তার রাগ মেটাতে আমাকে শ।লীলতাহানীর চেষ্টা করে। তার কথায় রাজী না হলে সে আমাকে এখনই মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিতে থাকে। আমি তার কথায় রাজী বলে কৌশলে তাকে ঘরে আটকিয়ে চিতৎকার করতে থাকলে এলাকার লোকজন এসে পাভেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ভুক্তভোগীর স্বামী মহি উদ্দিন বলেন, আমি আমার জন্মস্থান কুলিয়ারচরে স্বপরিবারে বসবাস করছিলাম। পাভেলও একই এলাকার বাসিন্দা। সে প্রায়ই আমার স্ত্রীকে উত্তোক্ত করতো। তার বিরুদ্ধে আমি তার পিতাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের কাছে বেশ কয়েকবার নালিশ করেছি। গত বছরের মে মাসে পাভেল আমার বসত ঘরে ঢুকে আমার স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে চেষ্টা করে। তখনও আমার স্ত্রীর চিৎকারে তাকে এলাকার লোকজন আটক করে কুলিয়ারচর থানায় সোপর্দ করে। ঐ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সে আজ সন্ধায় পুনরায় আমার ঠিকানা সংগ্রহ করে আমার বাসায় ঢুকে আমার স্ত্রীর সাথে জোর জবর দস্থি করে শ।লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়। এ সময় আমি আমার কর্মস্থলে ছিলাম। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে পাভেলের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্য়াতন দমন আইনে মামলা দায়ের করি। সে আমার জীবনটা বিষিয়ে তুলেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।
এলাকাবাসী রহিম মিয়া জানান, আমি এলাকায় একটি প্রায়ভেট প্রতিষ্টিানে চাকরি করি। মহিউদ্দিনের স্ত্রীর চিৎকারে তার বাসায় গিয়ে জানতে পারি আটককৃত পাভেল মহিউদ্দিনের স্ত্রী তহুরা বেগমের সাথে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছিল। পরে আমিসহ লোকজন সাথে নিয়ে তার ঘর থেকে পাভেলক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি।
ভৈরব থানার ওসি (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার বলেন, এ ঘটনায় পাভেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে সে থানা হাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগীর স্বামী মহিউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আগামী কাল পাভেলকে কিশোরগঞ।জ আদালতে পাঠানো হবে।
#################