সোহেলুর রহমান: ভৈরবে এন এস ওয়ান স্ট্রীপ না থাকায় ডেঙ্গু জ্বর সনাক্ত ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা লেভেলে সরকারি ভাবে ডেঙ্গু সনাক্ত করণের এন এস ওয়ান স্ট্রীপ হাসপাতালে এখনো এসে পৌছায়নি। ফলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্্রান্ত সনাক্ত করা যাচ্ছেনা। এটি হাসপাতালে পৌছলে তখন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করতে আর কোন সমস্যা হবেনা। বর্তমানে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই ডেঙ্গু জ্বর সনাক্ত করা হচ্ছে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগী সনাক্তে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকই মানুষের এখন এক মাত্র ভরসা। এন এস ওয়ান স্ট্রীপ না থাকায় রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই ডেঙ্গু আক্রান্ত সনাক্ত হচ্ছে লোকজন। মূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এখন পর্যন্ত ভৈরবে প্রায় ত্রিশ জনের মত ডেঙ্গু রোগী সনাক্তর পর তারা চিকিৎসা বাড়িতে চেলে গেছেন। এ ছাড়াও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নজরুল ইসলাম ও সাবিদা নামে দুই জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত সাবিদা জানান, তিনি কিছুদিন পুর্বে ঢাকায় তার ছেলের বাসায় গিয়েছিলেন বেড়াতে । সেখান থেকে তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। তার বাড়ি রায়পুরা থানাধিন রামনগর গ্রামে। গত সোমবার দিন এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এখঅনে ভর্তি রয়েছেন।
ভৈরবের চন্ডিবেড় গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি ঢাকায় ছিলেন। সেখান থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান হলে পরে তিনি ভৈরবে তার বাড়িতে চলে আসেন। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন আছেন। এখন অনেকটা ভাল আছেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার বুলবুল আহম্মেদ জানান, ভৈরব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মিলে গড়ে প্রতিদিন আট থেকে দশ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হচ্ছে। অধিকাংশ রোগীই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে ভৈরবে আসছে। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নজরুল ইসলাম ও সাবিদা নামে দুই জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। আরো অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতিদিনই হাসপাতালসহ প্রতিটি গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্টিানে লিফলেট বিতরণ ও মসজিদে মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতা মূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এখন পর্যন্ত ভৈরবে প্রায় ত্রিশ জনের মত ডেঙ্গু রোগী সনাক্তর পর তারা চিকিৎসা নিয়েছেন।