জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এইচআইভি/এইডস্ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স হলরুমে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামের একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ওই সভার আয়োজন করে।
সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংস্থার ভৈরব সাব ডিআইসির ইনচার্জ মো: শরীফুল ইসলাম। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বুলবুল আহমেদ বলেন, এইডস্ একটি ভাইরাস জনিত রোগ। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। তাই এইডস্ আক্রান্ত হওয়ার আগে এইডস্ প্রতিরোধে আমাদের সচেতন হতে হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: কেএনএম জাহাঙ্গীর বলেন, কখন কে এ ধরণের সমস্যায় পড়ে যাবে এ বিষয়ে আমারা আলোচনার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে তুলার চেষ্টা করি। তা না হলে আমাদের প্রানঘাতি রোগ হয়ে যেতে পারে।
মেডিকেল অফিসার ডা: রাইনা মাসলুন বলেন, এইডস একটা মরণ ব্যাধি। এটা হলে আর ভাল হয়না। ইনফেকশন হওয়ার পর থেকে একটা লোকহয়তো দশ বারবছর পর্যন্ত বেচে থাকতে পারে। এইডস রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে জ্বর কাশি গলার নিচে ফুলে যাওয়া সহ আরো কিছু লক্ষণ হিসেবে আলোচনায় তুলে ধরেণ।
ভৈরব থানার ওসি ( তদন্ত ) বাহালুল খান বাহার বলেন, আমাদের বিষয়টা হচ্ছে আইনি সম্পর্ক। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি হিজরা প্রকৃতির যারা আছেন তারা কখনো কোথাও গিয়ে কোন রকম সহযোগিতা পায়না। আমরা নিজেরাই তাদেরকে আমাদের পাশের সিটে বসতে দিতে চাইনা বা নিজেরাও বসিনা। তা ছাড়া তাদের মধ্যে অনেকেই মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। এমন অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে অনেক। তবে আমি বলব তারা যে যেমন কাজে পারদর্শী তারা যেন ঐ কাজে জীবিকা নির্বাহ করে। কিছু সুবিধাবাদী পুরুষ লোক নিজেরা হিজরার লেবাসে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে চলেছে। এদের সংখ্যাই বেশি। আমরা চেষ্টা করব প্রকৃত হিজরাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যাবস্তা করতে। এ বিষয়ে আমার পক্ষ থেকে উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে আমি সুপারিশ করব।
সভায় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, আইনজীবি, সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, হিজড়া, ইমাম শ্রেণির ৫০জন প্রতিনিধি অংশ নেন।