সমাধান ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান সার্জন (অব.) আবু তাহেরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছে নয়জন ইউপি সদস্য।
স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরে এর প্রতিকার চেয়ে আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনাস্থা প্রস্তাবের লিখিত অনুলিপি জমা দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।
এছাড়াও জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরসহ স্থানীয় গণমাধ্যকর্মীদের নয়জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি দিয়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, উপজেলার সাত নম্বর শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান সার্জন (অব.) আবু তাহের ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে গেল ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী হয়। ফলে নানা বিষয়ে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।
একইসঙ্গে ইউপি সদস্য ছাড়াই পরিষদ পরিচালনা করবেন এই মর্মে বিভিন্ন সময় তাদের হুমকি-ধামকি দেন ইউপি চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি মনগড়া মতে প্রকল্প ঠিক করে পছন্দের একজনকে সভাপতি দিয়ে তিনি নিজেই সরকারি অর্থ একের পর এক আত্মসাৎ করছেন।
এসবের প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ইউপি সদস্যদের লাঞ্চিতসহ অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। তাছাড়া নাগরিক সেবার নামে ট্যাক্স আদায় করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। যার কোনও হিসাব বা রশিদ নেই।
এসবের ফলে অতিষ্ঠ হয়ে শ্রীনগর ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের ১২ জন ইউপি সদস্যের মধ্যে নয়জন ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন। ইউপি সদস্যরা হলেন, সেলিম মিয়া, শাহানা বেগম, আলকাছ মিয়া, জাকির হোসেন, জাহের মিয়া, আবু কালাম, আক্তার হোসেন, মতিউর রহমান ও জাহের মিয়া।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান সার্জন (অব.) আবু তাহেরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউনিয়নের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
এ ব্যাপারে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল আরটিভি অনলাইনকে বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।