নরসিংদী(বেলাব)প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর বেলাব থানার এস আই এর বিরোদ্ধে আসামীকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামীর ছোট বোন সপ্তম শ্রেনী স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে থানায় আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৮মে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে। ঘটনার সূত্রে জানা যায় বেলাব উপজেলার পাহাড় উজিলাব গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে মোঃ রজব আলী বিগত দুই মাস আগে একই উপজেলার বটেশ্বর গ্রামের এক মেয়ের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে। কিন্তু মেয়ের বাবা বিষয়টি মেনে নিতে রাজি নয়। রজব আলীও ভগ্নিপতি এবং ভাইকে আসামী করে বেলাব থানায় অপহরন মামলা করেন মেয়ের বাবা ।সে মামলার তদন্তে ছিলেন এস আই সেতাব আলী । কিন্তু কিছু দিন পর মেয়ের বাবা ও ছেলের পক্ষ আপোষ মীমাংসায় আসে। মিমাংসার কাগজ পত্র থানায় জমা দিতে গেলে জমা নেয়নি সেতাব আলী । সেতাব আলী ছেলে পক্ষের কাছে ২০০০০০ দুই লক্ষ টাকা দাবি করে। উক্ত টাকা দিলে মীমাংসার ফয়সালা করে দিবে। কিন্তু আসামী পক্ষ উক্ত টাকা দিতে অপগরতা প্রকাশ করে। রাগের বর্ষবতি হয়ে এস আই সেতাব আলী গভীর রাতে আসামীর বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু আসামীকে না পেয়ে আসামী রজব আলীর বড় ভাইয়ের বউকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন , ঘরের মধ্যে বিছানা তুলে ফেলে ও আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করেন শেষ পর্যায় কাউকে না পেয়ে ছেলের স্কুল পড়ুয়া ৭ম শ্রেনীর ছোট বোন ফাহিমাকে তুলে নিয়ে আসেন থানায়। ছোট মেয়েটির কান্নাকাটি দেখে মা ও তাদের সাথে থানায় আসে । ঘটনার খবর পেয়ে মেয়ের মামা মোঃ জগত মিয়া থানায় যায় বিষয়টি জানতে এবং তার ভাগিনাকে আনতে কিন্তু তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন সেতাব আলী। এক পর্যায় মামা মোঃ জগত মিয়া নরসিংদী পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন। তার ভাগিনার নামে মামলাটি চলমান থাকায় ভাগিনাকে না পেয়ে অন্ধকার রাতে এস আই সেতাব আলী আমার বোনের বাড়িতে মালামাল ভাঙ্গচুর ও ছোট ভাগিনিকে তুলে নিয়ে গিয়ে থানায় আটকে রাখে। । জগত মিয়া জানান আমার ভাগিনিকে থানায় নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিশ দায়ী থাকবে বলে অভিযোগ করেন । এবং পুলিশ সুপার মহোদয়কে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান।