স্টাফ রিপোর্টার রাজু মিয়াঃ
নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার অলিপুরা ইউনিয়নের বলমারা এলাকার বাসিন্দা সোহাগের (৩২) বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবন কারীরা
নানা কৌশল ব্যবহার করে মাদক সেবন করতে মোটা অঙ্কের চাদা সহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে। এতে মাদক সেবনকারীদের চাদার টাকা না দিলে সোহাগের দোকানে অশ্লীল গালিগালাজ করে আসছে এই মাদক সেবনকারীরা।
একই এলাকার বাসিন্দা হাসিম উদ্দিন (৪৫) জানান, দীর্ঘদিন যাবত সোহাগ তার নিজ ব্যবসা সততার সাথে পরিচালনা করে আসছিল।
কিন্তু জাহাঙ্গীর নগরের কসাই পাড়া এলাকায় রাতের আঁধারে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ড্রাগসের ব্যবসা করে আসছে সাদেক, নজরুল, সুজন, আব্দুল্লাহ, হিরন সহ প্রায় অধিকাংশ মাদক ব্যবসায়ীরা।
গত ২১ শে ফেব্রুয়ারী রোজ বৃহস্পতিবার এই কুখ্যাত মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীরা দুপুরে সোহাগের বাড়িতে গিয়ে চাদার টাকা দাবী করে অভিযোগ করে।
তার স্ত্রী মদিনা বেগম (২৫) তার স্বামী সোহাগ বাড়িতে না থাকায় মাদক সেবনকারীদের পরে আসতে বলে । কিন্তু এই কথা না শুনে হাতে থাকা অবৈধ ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে ঘরের আঙ্গিনাতে এলোপাথারী ভাবে কোপাতে থাকে। তখন তারা আতœরক্ষার জন্য পাশের বাড়ীতে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর সাদেক ও সামশুল হক এর নেতৃত্বে কেডার বাহিনীরা এসে তার ঘর থেকে আলমারি, সুকেছ ভেঙে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে বলেন সোহাগ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায় যে, তার বাড়ির আঙ্গিনা সহ ঘরের টিনের বেড়াতে কোপের চিহ্ন।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এই কুখ্যাত মাদক সেবনকারীরা এই এলাকালাটিতে বিগত সময় ধরে যুব সমাজের হাতে ইয়াবা সহ বিভিন্ন ড্রাগ্স তুলে দিচ্ছে।
এতে এই এলাকার স্কুল পড়–য়া ছাত্ররা মাদক সেবনের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। তাই এই মাদক সেবনকারীদের যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
আজ শনিবার নরসিংদী হাজী গফুর হাজী মার্কেটের ভিতরে এসে সংবাদকর্মী রুদ্রকে ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে অভিযোগ করে বলেন সোহাগ।
উক্ত বিষয়ে রায়পুরা থানায় অবগত করলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে এসআই রফিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাড়িতে গিয়ে আমরা ঘটনাটি তদন্ত করি এবং উর্দ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।