এ. আর. মুশফিক: জন্মদাত্রী হিসেবে প্রত্যেকের জীবনে মায়ের স্থান সবার ওপরে। তাই তাকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানানোর জন্য একটি বিশেষ দিনের প্রয়োজন নেই। তারপরও আধুনিক বিশ্বে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
আজ বিশ্ব ‘মা দিবস’। বিশেষ এ দিনে চলচ্চিত্রাভিনেত্রীদের সফলতার পেছনে মায়ের ভূমিকা কেমন ছিল? এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় পাঁচ চিত্রনায়িকা।
মায়ের জন্য প্রতিটি দিনই সমান : পপি
মায়ের অবদান আমার জীবনে অনেক বেশি। আমি মনে করি, প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। মায়ের জন্যই আমরা পৃথিবীর মুখ দেখেতে পেরেছি। এ ছাড়া জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা থাকে। আমার নায়িকা হওয়ার পেছনেও মায়ের ভূমিকা রয়েছে। মায়ের জন্য প্রতিটি দিনই সমান।
নজর লাগবে বলে সিনেমা দেখতে চাননি মা : নিপুণ
আমার বাবা নেই। আমার সফলতার সবকিছুতেই আমার মায়ের অবদান রয়েছে। নায়িকা হওয়ার পেছনে মায়ের অবদান শতভাগ। এফ আই মানিক ভাইয়ের ‘পিতার আসন’ সিনেমায় আমি প্রথম কাজ করি। মানিক ভাই প্রথমে মাকে বলেন, কাজটি অনেক ভালো হবে। এরপরও মা একটু দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিলেন, আমি কাজটি করতে পারব কিনা। কারণ আমি দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলাম। তারপর মানিক ভাই মাকে বললেন, নিপুণ পারবে। তখন মাও রাজি হয়ে যান।
‘পিতার আসন’ সিনেমাটি মুক্তির পর একমাস হলে চলছে। আম্মু এক মাসের মধ্যে সিনেমাটি দেখতে যাননি। শেষের শোতে আম্মুকে বলি, আপনি সিনেমাটি একটু দেখেন। তখন মা বলেন, ‘আমার সিনেমাটি দেখতে ভয় লাগতেছে, কারণ আমারই যদি নজর লেগে যায়!’ আমি তখন বললাম, মায়ের কখনো নজর লাগে না আপনি দেখেন। সিনেমায় কাজ করতে এভাবেই মা আমাকে সার্পোট দিয়েছেন।
নায়িকা হতে মায়ের নিষেধ ছিল : রত্না
আমি সিনেমার নায়িকা হবো মা কখনো চাইতেন না। মায়ের অনেক নিষেধ ছিল। আমি নাছোরবান্দা নায়িকা আমাকে হতেই হবে। অবশেষে যদিও মায়ের নিষেধ টিকেনি। এ ছাড়া মা আমার জীবনে অনেক কিছু করেছেন।
মায়ের স্বপ্ন ছিল নায়িকা বানাবেন : আঁচল আঁখি
মায়ের ইচ্ছেতেই আজ সিনেমার নায়িকা হতে পেরেছি। মায়ের স্বপ্ন ছিল আমাকে সিনেমার নায়িকা বানাবেন। তাই ছোটবেলায় নাচের ক্লাশে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। এখনো অভিনয় করার ক্ষেত্রে মা সবসময় হেল্প করেন। মায়ের অনুপ্রেরণায় আজ নায়িকা হতে পেরেছি। এ ছাড়া মায়ের অবদান তো পৃথিবীর সব কিছুর উপরে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মায়ের অবদান রয়েছে। মায়ের সঙ্গে কারো তুলনা হয় না।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখব মা আমার জন্য এক গ্লাস শরবত করে রেখেছেন। ওটা খেয়ে আমি আর মা জগিং করতে বের হই। শুটিং করতে গিয়ে অনেক সময় খাওয়া ও শরীরের প্রতি খেয়াল থাকে না। কিন্তু মা ঠিকই আমার জন্য খাবার তৈরি করে খাইয়ে দেন। নিজের প্রতি নিজের খেয়াল না থাকলেও মা ঠিকই খেয়াল রাখেন।
আমার সবটুকু অর্জন মায়ের : জাকিয়া বারী মম
আমার সব কিছুতেই মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। মা আমাকে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এরপর যতটুকু অর্জন করেছি, তার সব কিছুতেই মায়ের অবদান বেশি ছিল।