জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি:
ট্রেনের ছাঁেদ বাফারে ও ইঞ্জিনে ঝূঁকিপূর্ণ অবৈধ ভ্রমন রোধ করা গেলেও রোধ করা যাচ্ছেনা ট্রেনের চালকদের ঝুঁকিপূণ যাত্রী নেওয়া । তারা তাদের বাড়তি আয়ের জন্য ইঞ্জিনের ভিতরে চালকের পাশে ও বাহিরে যাত্রীদের বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রেলওয়ে মন্ত্রনালয়ের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে। প্রায়ই দেখা যায় ভৈরব ষ্টেশনে ইঞি।জন থেকে যাত্রী নামাতে গিয়ে রেল পুলিশের সাথে চালকদের বাক বিতন্ডা হয়। বেশি চাপালে চালকরা হুমকি মারে ট্রেন আপনারা চালিয়ে নিয়ে যান। চালকের এমন কথায় পুলিশ বিপাকে পড়ে যায়।
ট্রেনের ছাঁদে ও ইঞি।জনে অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমনের দায়ে ভৈরব রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। ঝুঁকিপূর্ণ ও বিনা টিকিটে ভ্রমন রোধে রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী প্রতিদিনই ট্রেন থেকে আটককৃত যাত্রীদের বিরুদ্ধে নিচ্ছেন আইনি ব্যবস্থা। তবে চালকরা মানছেন না রেলওয়ে মন্ত্রনালয়ের নিষেধাজ্ঞা। ফলে ছাদে ভ্রমন রোধ করা গেলেও রোধ করা যাচ্ছেনা ইঞ্জিনে করে যাত্রী নেয়া অর্থ লোভী চালকদের কারণে।
রেলওয়ে মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে ট্রেনের ছাঁদে ও ইঞি।জনে অবৈধ ঝূকিপূর্ণ ভ্রমন নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে ভৈরব রেলওয়ে ষ্টেশনে ট্রেনের ছাদে ও ইঞি।জনে ভ্রমন রোধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে ইঞি।জনে করে যাত্রী নেয়া বন্ধ হচ্ছেনা চালকদের কারণে। চালকরা ইঞি।জনের ভেতরে বাহিরে বসিয়ে এখনো যাত্রী নিয়ে আয় করছেন অবৈধ বাড়তি টাকা। এছাড়াও চালকরা বিরতীহীন ষ্টেশন গুলোতে ধীরগতি অবস্থাতে তাদের আনা যাত্রীদের নামিয়ে দিতে গিয়ে অনেকেই ট্রেনের কাটা পড়ে মারা গিয়েছে ভৈরব রেলওয়ে ষ্টেশনে।
ভৈরব রেলওয়ে সুত্র জানায়, ট্রেনর ছাঁদে, বাফারে ও ইঞি।জনে ভ্রমন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যাত্রীরা ঝূঁকিপূর্ণ ভ্রমন করতে গিয়ে অনেক সময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যাচ্ছে। ছাঁদে ভ্রমন করতে গিয়ে ছিনতাইকারিদের কবলে পড়তে হয় যাত্রীদের। বিনা টিকেটে ছাদে ভ্রমন করায় সরকার বঞি।চত হয় রাজস্ব থেকে। এ সকল অবৈধ ভ্রমন রোধে যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিত করতে রেল মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ মোতাবেক রেলওয়ে প্রশাসন নিয়মিত এ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রেনের ছাঁদে , বাফারে ও ইঞি।জনে ভ্রমনের দায়ে যাত্রীদের বিরুদ্ধে ১১৩/১১৮ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠাচ্ছেন। এতে করে যাত্রী সাধারণ ঝূঁকিপূর্ণ ভ্রমনে নিরুৎসাহিত হবে আর ছাঁদে ভ্রমন রোধ করা গেলে বাড়বে রেলওয়ের রাজস্ব।
যাত্রীরা জানান, ছাদে ভ্রমনে নিষেদাজ্ঞা রয়েছে সেটা আমরা জানতামনা। ট্রেনের কামরায় অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় বাধ্য হয়ে ট্রেনের ছাদে ভ্রমন করতে হয়েছে। ছাদেঁ ভ্রমন ঝূকিপুর্ণ ও অবৈধ এখন জানতে পারলাম। ভবিষ্যতে আমরা আর কখনো ট্রেনের ছাদে ভ্রমন করবনা।
ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো ঃ ফেররদাউস আহাম্মদ বিশ্বাস জানান, যারা ট্রেনের ছাঁদে উঠে , বিনা টিকিটে রেল ভ্রমন করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। তাদের কারো বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে । বিনা টিকিটে ভ্রমনের দায়ে জড়িমানাসহ দ্বিগুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীরা নিরাপদে রেল ভ্রম,ন করতে পারবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভৈরব রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গির আলম বলেন, ঝূঁিপূর্ণ ভ্রমন রোধে আমরা অবিযান পরিচালনা করে আসছি। ছাঁদে ইঞ্জিনে বাফারে করে ভ্রমন যারা করছে আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। তবে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। অভিযানের কারণে বর্তমানে অবৈধ ঝূকিফুর্ণ ভ্রমন অনেকটাই কমে এসেছে।
ভৈরব ষ্টেশন মাষ্টার এ কে এম কামরুজ্জামান জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং স্বাচ্ছন্দে ভ্রমনের স্বার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিষেদাজ্ঞঅ রয়েছে ছাঁেদ ভ্রমন করার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে যাতে কোন ক্রমেই যাত্রী ট্রেনের ছাদে ভ্রমন করতে না পারে। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে ভ্রমন করতে পারে সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ট্রেনে ঝূঁিকপূর্ণ ভ্রমন রোধ করা গেলে বাড়বে যাত্রী সেবার মান পাশাপাশি বাড়বে রেলওয়ের রাজস্ব । দুর্ঘটনা রোধ সহ ট্রেন ও যাত্রীরা থাকবে নিরাপদ এমনটাই আশা করছেন স্থানিয় রেল প্রশাসন।