কুলিয়ারচরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ দাস ও তার ছেলে সূর্য দাসকে মারধরের অভিযোগ।
পবিত্র চন্দ্র সূত্রধর ( শম্ভু ) কুলিয়ারচর প্রতিনিধি!!
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ দাস (৪৫) ও তার দশ বছরের ছেলে সূর্য দাসকে মারধোরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ৫ আগস্ট শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ছয়সূতী পশ্চিমপাড়া গ্রামে পুরাতন নাগ বাড়ির সামনে একটি রাস্তায় এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সুভাষ দাসের চাচাতো প্রতিবন্ধী ভাই জয় (২৬) কে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে একই গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে নাঈম (২০)। এঘটনায় প্রতিবাদ করায় সুভাষ দাসের ১০ বছরের ছেলে সূর্যকেও অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে তাকে মারধোর করে নাঈম। খবর পেরে ঘটনাস্থলে এসে কী কারনে চাচাতো ভাই ও ছেলেকে গালিগালাজসহ মারধোর করেছে জানতে চাইলে সুভাষ দাসকেও মারধোর করে রক্তাক্ত জখম করে নাঈম। পরে এলাকাবাসী আহত সুভাষ দাসকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা করান। এর আগে সুভাষ দাসের ভাবী শিল্লী রানী দাস (৫০) কেও লাঞ্ছিত করে নাঈম।
এঘটনায় সুভাষ দাস ওইদিন কুলিয়ারচর থানায় মৌখিক ভাবে অভিযোগ করার পর বিকালে থানার কর্তব্যরত এসআই সাইফুল ইসলাম আকন্দ ও এএসআই মো. জুয়েল বিষয়টি তদন্তে এলাকায় আসেন।
সুভাষ দাস বলেন, ইতোপূর্বেও নাঈম তাদেরকে গালিগালাজ সহ একাধিকবার মারধোর করেছে। থানায় অভিযোগ করার কারণে নাঈম লোকজন নিয়ে তাদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। তারা নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ায় নাঈম তাদেরকে একের পর এক এধরনের অত্যাচার করে আসছে বলে দাবী করেন সুভাষ দাস। তিনি প্রশাসনের একট এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত নাঈম এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মৌখিক ভাবে অভিযোগ পাওয়া পর ঘটনা স্থলে দুই পুলিশ অফিসারকে পাঠানো হয়েছিলো। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।