ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের কার্যঅধিবেশনে সরকারের এই বার্তা পৌঁছে দেন তিনি।
অধিবেশনের পরে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “এখন থেকে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলের বাইরে যারা কারখানা স্থাপন করে ফেলেছেন তারা সেগুলো পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলে স্থানান্তর করতে পারবেন।”
নসরুল হামিদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গতকাল অনুশাসন দিয়েছেন- যত্রতত্র শিল্প এলাকা করা যাবে না। আজকে আমরা জেলা প্রশাসকদের বলে দিয়েছি কেবলমাত্র পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া কোথাও আমরা গ্যাসের লাইন, বিদ্যুতের সংযোগ দেব না, এটা একদম স্পষ্ট।
“এখন থেকে যারা এখানে শিল্প এলাকা করতে চাচ্ছেন বা শিল্প এলাকা করতে যাবেন বা করে ফেলেছেন কিছু, তাদেরকে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হবে।”
পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল বলতে সরকারের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো ছাড়াও বিসিককে বোঝানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কথা হল, সরকারের অনুমোদিত পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া কোথাও গ্যাসের সংযোগ, বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া যাবে না। কেউ যদি যত্রতত্র অনুমোদন ছাড়া করে তাদের লাইন কেটে দেওয়া হবে।”
পরিকল্পিত শিল্প এলাকার বাইরে যারা কারখানা স্থাপন করেছেন তাদের কী হবে- সে প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমার কথা হল এখন থেকে (এই নিয়ম) বহাল হচ্ছে। যারা করে ফেলেছেন ধীরে ধীরে তারা বুঝতে পারবেন, কারণ আমাদের সমস্যা হচ্ছে।
“নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া সমস্যা হচ্ছে, গ্যাস দেওয়া সমস্যা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে করা তো, যার কারণে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। তারা ভবিষ্যতে পরিকল্পিত শিল্প এলাকায় শিফট করতে পারেন।”
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যাপারে জেলা প্রশাসকরা ‘স্যাটিসফাইড’ জানিয়ে করে বিপু বলেন, “প্রি-পেইড মিটার নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কিছু সমস্যার কথা তারা জানিয়েছেন, সেগুলো আমরা দেখব।”
বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে শিগগিরই একটি নীতিমালা করা হচ্ছে বলেও ডিসিদের জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
সরকারি অফিসগুলোতে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার ওপরে বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “গ্যাসের বিলও প্রচুর বকেয়া রয়ে গেছে, সব মিলিয়ে তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের আট-নয় হাজার কোটি টাকা হবে।”
যারা বিল পরিশোধ করবে না, তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান তিনি।