আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লিবিয়ায় ২০১১ সালে আন্দোলনকালে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ৪৫ জনকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সে দেশের একটি আদালত।
বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার একটি আপিল আদালত এ রায় দিয়েছে বলে দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।
লিবিয়ার প্রাক্তন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে রাজধানী ত্রিপোলির কাছে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জন্য এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫৪ জনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ২২ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তদের কবে কোথায় গ্রেপ্তার, চার্জ গঠন এবং মামলার শুনানি হয়েছে সেসব বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। গাদ্দাফি সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটিই সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যুদণ্ড প্রদানের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
বিচার মন্ত্রণালয়ের এক কমর্কর্তা জানিয়েছেন, গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ত্রিপোলি থেকে পালিয়ে যাওয়ার অল্প সময় আগে তার অনুগত বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এসব মামলার সম্পর্ক রয়েছে।
২০১৫ সালের পর ত্রিপলির কোনো আদালত মৃত্যুদন্ডের এ রায় প্রদান করল। এর আগে মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলামসহ গাদ্দাফির প্রশাসনের বেশ কিছু পদস্থ কর্মকর্তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে ওইসব দণ্ড কার্যকর করা হয়নি এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের অধিকাংশকে আজীবন কারাদণ্ডের কথা বলে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর গত সাত বছর ধরে লিবিয়ায় সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। কর্তৃপক্ষ কোনো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। দেশটিতে ২০১৪ সাল থেকে কার্যত: রাজনৈতিক ও সামরিক বাহিনীর একাধিক পক্ষ কর্তত্ব স্থাপনের চেষ্টা করছে যারা মূলত: ত্রিপলি এবং পূর্বাঞ্চল থেকে তৎপরতা চালাচ্ছে।
তবে এ বছরের শুরুর দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলো দেশটিতে বছরের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সম্মত হয়। কিন্তু এ নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে মানবাধিকার গ্রুপ এবং রাজনীতিবিদসহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহলের সংশয় রয়েছে।