মোঃ নজরুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
পাহাড়ি ঢলে গোমতী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পরেছে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং, দেবিদ্বার, তিতাস, দাউদকান্দি ও মুরাদনগর উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট, ধর্মীয় উপাসনালয়সহ ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জুর, পৈয়াপাথর, উত্তর ত্রিশ, রহিমপুর, নোয়াকান্দি, চৌধুরীকান্দি, মুরাদনগর উপজেলা সদরের পাথরবাড়ী, হিরারকান্দা, দিলালপুর, ধনিরামপুর, ঘোড়াশাল, আলীরচর, জাহাপুর, শুশুন্ডা, সাতমোড়া, দুলারামপুর, ভুবনঘর ও ধামঘর গ্রামে বন্যা পরিস্থিতিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠন ও নানা স্তরের মানুষ।
এরই মধ্যে মুরাদনগর উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামের বন্যার্তদের খাবার ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে মুরাদনগর উপজেলা সদরের শাহ্ পরিবারের নির্দেশনায় ও কেএম মজিবুল হকের নিজস্ব অর্থায়নে এবং কাজী শাহ আরফিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
শাহ পরিবারের আস্থাভাজন মোঃ মুর্শেদ আলম বলেন, মুরাদনগর উপজেলায় যখনই যে ধরনের বিপর্যয় এসেছে কাজী শাহ পরিবার সব সময় আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। গোমতীর পানি বেড়ে গিয়ে মুরাদনগর উপজেলায় যারা বন্যার কবলে পড়েছে তাদেরকে উদ্ধার করে খাবার ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজী শাহ পরিবারের নির্দেশনায় ও কেএম মুজিবুল হকের নিজস্ব অর্থায়নে এবং কাজী শাহ আরফিন এর সার্বিক পরিচালনায় আমরা সবাই মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। যতদিন এই বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে কাজী শাহ পরিবারের পক্ষ থেকে ততদিন আমরা সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে মাঠে আছি।