জাতীয়

ভৈরবে প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় বয়কট

 

সমাধান ডেস্ক:
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম,দূর্নীতি,স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে শিক্ষকের অপসারন দাবিতে গ্রামবাসী শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন । শিক্ষকের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কোন অভিভাবক তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাবেননা বলে জানান । তবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর আহবান জানান শিক্ষা কর্মকর্তা ।
ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ১৯৯৫ সালে আতকাপাড়া প্রাথমক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় । পরে ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি করণ করা হয় । বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১ জন প্রধান শিক্ষক ও ৪ জন সহকারি প্রধান শিক্ষক কর্মরত আছেন । বিদ্যালয়ে ২শ৩৯ জন শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছেন । তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান,স্কুল অবকাঠামো উন্নয়ন,স্বজনপ্রীতি,দূনীর্তি, উপবৃত্তি ও বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্যকরাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক মোঃ একিন আলীর বিরুদ্ধে । এ সমস্ত অভিযোগ এনে সোমবার গ্রামবাসি তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পড়তে পাঠায়নি । শিক্ষকের অপসারন দাবী করে বিদ্যালয়ের সামনে গ্রামবাসী অবস্থান কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামিম আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌছে । এ সময় গ্রামবাসীরা শিক্ষার মান, উপবৃত্তির টাকা না পাওয়া,প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা, বিদ্যালয়ে টিউবওযেল নষ্ট, ¯িøলিপ ফান্ডের ও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের সরকারি বরাদ্ধকৃত টাকা সুষ্ঠুভাবে কাজ না করে অর্থআতœসাৎ ও শিক্ষার্থীদের মারধর করা এবং তার স্বজনদের দিয়ে গ্রামবাসীদের হুমকি-ধামকিসহ পেশী শক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী প্রকাশ্যে সরাসরি তার অপসারন দাবি করে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এসব অভিযোগকরেছেন ।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক প্রতিনিধি আসকর মিয়া প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম,দূনীতি ও স্বজনপ্রীতি ও শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্যকরাসহ সমস্ত অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান ।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ একিন আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামিম আহমেদ জানান লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রæত বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে । তাছাড়া গ্রামবাসীরা যেন তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠান সে আহবান জানানো হয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *