রফিকুল ইসলাম রুবেল:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার সন্দেহে শিক্ষা অফিসের সরকারি কর্মচারী মুকসুদ আলী ও একই অফিসের অফিস সহায়ক কে জনতা হাতে-নাতে আটক করেছে । আজ শনিবার দুপুরে শহরের কমলপুর একটি ভাড়া-বাসা থেকে তাদেরকে একটি কক্ষে আটক করে জনতা । পরে আটককৃতদেরকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় । আটককৃতরা হলো মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের এম.এল.এস মোকসুদ আলী ( ৫০)) ও একই অফিসের অফিস সহায়ক কল্পনা বেগম (৩৫ ) । পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষা অফিসে এসে মোকসুদ আলীর স্ত্রীকে সব ধরনের আইনগত সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান । মোকসুদ আলীর স্ত্রী শামছি বেগম জানান, তার স্বামী একই অফিসের অফিস সহায়ক শামছি বেগমের সাথে বিগত ৪ বছর যাবৎ পরকীয়ায় লিপ্ত রয়েছে ।বিষয়টি বিগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি । এছাড়া স্বামীর পরকীয়ায় প্রতিবাদ করায় তার স্বামী তাদেরকে ভরণ-পোষণ ঠিকমত করছেনা । এছাড়া বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে ।তার ২টি মেয়ে ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে । তার প্রথম মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর একটি নতনী রয়েছে । এছাড়া ২য় মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছে এবং সবর ছোট ছেলে সায়মন ৮ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত । কিন্ত কল্পনা বিধবা কল্পনার ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে । উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার খবর পেয়ে ঘঁনাস্থলে পৌছে শামছি বেগমকে তার সিদএন্তর কথা জানাতে বলেন । তার সিদ্ধানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ।
এ বিষয়ে মুকসুদ আলী ও কল্পণা দাবি করেন তারা বিবাহিত দম্পত্তি । তবে বিয়ের ব্যাপারে তাদের কোন বৈধ কাগজপত্র বা প্রমাণাদি পেশ করতে পারেনি । এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, বিষয়টি শক্তভাবে দেখা হবে । এজন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ।