মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু ভৈরব কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । প্রচন্ড ঠান্ডায় হাসপাতাল গুলোতে হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন প্রতিদিন বহিঃবিভাগ ১ / ১শ ৫০ জন ও আন্তঃবিভাগে ১০ /১২ জন ঠান্ডা জনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা যারা সুস্থ হয়েছেন তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে । বেশি অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে ।
কয়েক দিনে উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় নিয়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। ঠান্ডায় জনজীবন বিপযস্ত হয়ে পড়ছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা । তবে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শীশু ও বয়স্করা। ঠান্ডায় শ্বাসকষ্ট, হাপানী,নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। শীত থেকে ও ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে বাচঁতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বের না হয় গরম কাপড় পরিধান করে এবং অসুস্থ হলে হাসপাতালে এনে যেন চিকিৎসা নেয় এমনটা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ সহ সব বয়সের মানুষ। শীত নিবারনে অনেকে গরম কাপড় ব্যবহার করলেও রেহাই মিলছেনা ঠান্ডা থেকে। তবে নিম্ন ও খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে।
এ বিষয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আফিয়া, রিনা বেগম ও বৃদ্ধ জহির মিয়াসহ অনেকেই জানান,গত কয়েকদিন যাবৎ জ্বর,সর্দি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে শিশু ও বৃদ্ধদেরকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বুলবুল আহম্মদ জানান, তীব্র শীতে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, সর্দি জ্বর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালের বহিঃবিভাগ ও আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে । তবে ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে বাচঁতে গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে এবং প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন।